এখনি আসিয়া  কহিবে সে, “চল, নিয়ে চল
দেখাও কোথায় হইয়াছে মেঘ সমুদ্র উদ্বেল |”


আমি দেখিব শুধু তাহার অবিন্যস্ত চূর্ণকুন্তল
যাহাতে পুঞ্জিভূত ছায়া কালো মেঘ-মখমল
তাহার বিস্ফারিত দুই আঁখির কমল কোরকে
নিনাদ-বিহীন সুতীব্র শত সহস্র বিজলি ঝলকে
তাহার নাসিকা রন্ধ্রের উষ্ণ আর্দ্রতায় মরীচিকা
সম দেখা দেয় আরশিতে মায়াময় কুহেলিকা
সুপক্ব কমলা ওষ্ঠ অধরে শেষ গোধূলির স্বর্ণ
যেন মেঘ সম্ভারে সূর্য ছড়ায় তাহার শেষ বর্ণ
কপোলে, চিবুকে ছড়ানো কী তাহারই লালিমা
ব্রীড়া তাহে ঢাকিতে পারে না, সে উজ্জ্বল গরিমা


কেমনে বুঝাব অভিমানীরে বাহিরে আসে নাই বরষা
ক্ষীণ পূবে বায়ে পায় নাই মেঘেরা কোনও ভরসা
উতলা হইয়া আছে বর্ষা শুধু তাহারই অভ্যন্তরে
সিঞ্চিতে ধরা আনিব তাহারে বাহিরে কি মন্তরে ?
উপায় একটি, করিতে বাহ্যিক বর্ষার আয়োজন
যদি সে পাঠায়, অশ্রু ধারায়, মেঘদের নিমন্ত্রণ ||
----------------------------------------------
ইন্দ্রনীর / ১২ জুলাই ২০১৪


বরষার আয়োজন