আশেপাশে যাচ্ছে ঘটে কতকিছু। তোমরা বলো, কোথায় থাকো?
দিচ্ছ ছবি ফুল পাখিদের, কচুঘেচু। কোনো কথাই বলছো নাকো!
বলি আমি, আমার কথা কে বা শোনে, কী আর হলাম বলতে কথা!
সবাই কথক, সবাই বাচক; আমি না হয় সর্ব জ্ঞানের হলাম শ্রোতা।
ঘটছে যা রোজ ঘটারই তা, যাচ্ছে ঘটে যেমন ঘটার, হিসাবমতোন;
সময় ছিল যখন অনেক শুধরে নেবার, শোনোনি ডাক, নাওনি শরণ।
ভুলশুদ্ধ, মন্দভালো, সত্যমিথ্যা অস্বীকারে পেয়েছ সুখ!
এখন কেন গায়ে লাগে, মুখে কালি, ফোসকা পড়ে, জ্বলুনি খুব?
আলোআঁধার, পানি ও তেল, দুধ ও জলে কখনো কি দেখেছ মিল?
কিন্তু যখন ছিল সময় হাজার ডাকে সত্যদ্বারে জুড়েছ খিল।
এখন কেন ক্ষয়ের ব্যথায় এমন কাতর আর্তনাদ আর এত হইচই?
পেছন ফিরে লাভ হবে না পৌঁছে গেছ পতন-বাঁকে, ঘূর্ণি অথৈ!
সবাই তুমুল রঙ্গরসিক, সমালোচক- ফুল পাখি আর শিল্প গীতি
অস্কারে কে ছক্কা মারে, লংকা হারায়, রূপালি মেয়ের প্রেম ও প্রীতি।
ওরাও খুশি- ভালো ছেলে, বড্ড জ্ঞানী, কত্ত কিছু মাথাভরা!
জীবনমুখী অনুরাগে তত্ত্বজ্ঞানের বসুন্ধরায় কাটছে খরা।
নিষিদ্ধ তিন মঞ্চ ছাড়া সব মুলুকেই অজ্ঞ-বিশেষ, ঝানু উকিল;
সুশ্রী দেবীর কোমর দোলায় কাঁপছে ভীষণ আলোচনার টকশো-টেবিল।
যাচ্ছ পড়ে, পড়বে আরও, পড়ার কথাই। কিনারাহীন গাঢ় তিমির।
নিজের খালেই ঘুরছে যে আজ সহন এবং সমন্বয়ের দাঁতাল কুমির।