২৪ জুন,


বর্ষার সাথে হঠাৎই আজ দেখা হয়ে গেলো,
ঠিক ১৪৬৫ দিন পর ।
না ‘দেখা হওয়া’ শব্দটা ঠিক নয়,
বর্ষাকে আমি দেখলাম বাসে যেতে যেতে...
ওর গাড়িটা অনেকটা এগিয়ে গেছে...
খুব সম্ভবত ওটা বিএমডাব্লিউ;
বাসটা কিছুতেই যার নাগাল পাচ্ছে না॥


‘জেভিয়ার্স ফিরে ফিরেই আসছে
ও প্রিয় প্রোফেসর ডী সিলভা,
মৌনমুখর ক্লাসরুম.. বর্ষার সাথে আলাপ
আর কত চেনা সেই ক্যান্টিন
আনাচ-কানাচ যার আজ স্মৃতির খনিজ ।
হামবার্গার না পিত্জা কোনটা বেশি ভালো
পার্কস্ট্রীট জুড়ে তখন তর্ক লেগেই থাকতো,
পাশ কাটিয়ে চলে যায় কিছু মনোরম বিকেল
হাওয়ায় ভেসে ঘুরে বেড়ানো;
নির্বাক সময়ের অনুসন্ধিৎসু চোখেরা যখন
আমাদের দিকেই স্থির,
তারপর জানলা দিয়ে রোদ মাখি
বৃষ্টিভেজা চোখে বর্ষা দেখি.......
অনুপম দৃষ্টিতে
বর্ষাকে রোজই নতুন লাগে
বর্ষা যখন প্রিয় থেকে প্রিয়তম., প্রিয়তমা........ ’


হঠাৎ একটা জার্কিং
তাকিয়ে দেখি সিগন্যালের লাল আলো
ওইতো বর্ষার গাড়িটা, বর্ষা ফুল কিনলো
বর্ষায় অনামিকায় একটা আংটি... কার নামের অক্ষর.....
জানিনা, তবে এটা জানি সে আমি নয় ।
তারপর মনে পড়লে সেই বিকেলবেলা
ঘড়ি খুলে নিজের মনিবন্ধে তাকিয়ে অবাক হই
আবার খুশীও লাগে,
‘বর্ষা’ নামের ট্যাটুটা একই আছে,
কিন্তু বর্ষার ট্যাটুটা
বা বর্ষার ট্যাটুটে কী এখনো আমি আছি !


আজই তো আবার ২৪শে জুন ।