~স্বীকারোক্তি (খোলা ডাইরি থেকে)~


~
ক্লাস তখন কত হবে সেভেন এইট বা ম্যাক্সিমাম নাইন
স্কুলের পর বা আগে কোচিন শেষে একটু খেলা..ক্রিকেট বা ফুটবল,
আমার রোলটা ভারী মজার ছিল-গোলকিপার,
পুরো গোলপোস্টটা আমায় একলা বাচাতে হবে!!
আর ক্রিকেটে বেশীরভাগ সময়েই এক্সট্রা... কখনো রানার; মোটারা ছুটতে না চাইলে,
দৌড়তে ভালোই লাগে এখনো, যদিও গতি আগের মত নেই,
কেটে-ছড়ে গেলেই 'স্যাভলন'... 'ডেটল'এ খুব জ্বালা করত।


এখন অনুভব করতে চেষ্টা করি কোনো সূচ অবশিষ্ট কিনা শরীরের কোন অংশে !!


টীচার না থাকলেই কোচিন ক্লাসে তখন প্রেমের আবহ,
অন্যের চোখে-
গরুর ন্যায় 'গোবেচারা' হয়ে বা থেমে যাওয়া স্টাচুর মত গুরুত্বহীন আমি,


তারপর দেখতাম
ঘর জুড়ে থাকা কিচির-মিচিরে, ফ্লাইং কিসে সাদাকালো দেওয়ালেরা আবার রঙিন,
কার্ড বিনিময়ে সময় জেরবার..
অন্যদের
'কাট-অফ' 'ব্রেক আপ' ও 'কমিটেড' রিলেশান যখন শুরু।


'ন্যাট-জিও', 'ডিসকভারি', 'অ্যানিমাল-প্লানেট' চ্যানেল তখনই প্রিয়,
বাড়ি ফিরে `প্রিডেটর'স প্রে`-তে বাঘ সিংহের হরিণকে খুবলে খুবলে খাওয়ার দৃশ্যটা অসহ্য লাগতো,
তারপর আসতো হায়নার দল...
আর সহ্য করতে পারতাম না, ভীষণ মাথা যন্ত্রনা হোতো, এইভাবে কখনো ঘুমিয়ে পড়তাম,
ঘুমিয়ে উঠে একটা অঙ্কও মিলতনা কখনো,


এখন মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় পুরোনো হিসাবগুলো মেলানোর,
কিন্তু ক্রমাঙ্কগুলো তো আর খুঁজে পাইনা... কোনো 'রাফ ওয়ার্ক' কখনোই
ছিলোনা, তাই শুধু শান্তনা......


শান্তনার পুরস্কার হিসাবে 'সাসপেণ্স অ্যাকাউন্ট' আছে যখন।


~
‪#‎ইন্সিগ্নিয়া‬