ব্যস্ত বইপাড়া ভীষণ ভিড়,
১৩ নম্বর পৃষ্ঠায় আটকে নীরা মুক্তি চাইছে...
সবাই খোঁজে নীরাকে,


কিন্তু বিশ্বাস কর তিন্নি আমি নীরাকে খুঁজিনি,
কেন খুঁজবো ?!!
তার আগেই তো তোর সাথে আলাপ সেই সন্ধ্যেবেলায়..
যখন নিশ্চুপ তারারা মৌনব্রতয়,
আর পাখিরাও শিখছে কুচকাওয়াচ;
ইতস্তত পালক ময়দান জুড়ে,
আরও দূরে জেগে নৈঋত কোণের এক তারা,


তারপর মিউজিয়ামে দেখি এথেনাকে,
খুব চেনা চেনা লাগে সেই চোখ নাক ঠোট
ভীষণ মনে পড়ে নীরাকে..
জেগে ওঠে সব অশরীরি ভাস্কর,


লোভ দেখায় বিকেলের বাসি ঘ্রাণ
আর কিছু শরীরি আব্দার;
অবলীলায় বলে... বলতে চায় নীরার
চোখ চিবুক ঠোটের কথা,


কিন্তু বিশ্বাস কর তিন্নি... আমি ওসব
শুনিনি;
তার আগেই টুটি টিপে ধরেছি ওই বাসি
ঘ্রাণেদের,
মেরে ফেলেছি.. খুন করেছি তাদের
ভিক্টোরিয়ার পাথরে আঁকি বুকি কেটে ।


তখন বাগবাজার,
তিন্নি তোকে খুঁজেছি কত ভরদুপুরে;
লাঠি উচিয়ে তেড়ে আসে নিধিরাম চাটুজ্জ্যে...
তারপর
নিজের থুতু গিলে বদনামের ভাগীদার
বাতাস ভারি পুলিশের শুকনো কিছু খিস্তিতে,


নীরার কথা এখন ভুলেও ভাবি না..
তবু সবাই এখনো খোঁজে তাকে;
আর গির্জাধ্বনি ভয় দেখায় আমায় প্রকাশ্যে..
অলিতে গলিতে হৃদকম্পন
যেন আফিমের ঘোর... জীবনভর,


আংটির মত প্রশস্ত প্রেম কখনোই ছিল না,
কিন্তু উদ্ভ্রান্ত দুই বাহু দিকে দিকে খুঁজেছে তোকে...
তিন্নি বিশ্বাস কর আমি শুধু তোকে ... তোকেই ভালবেসেছিলাম;


এখন বুঝিনা ওটা গির্জাধ্বনি ছিল
নাকি ইনস্যুয়ারেন্স কোম্পানীর দিকচক্রবাল !!


জীবন বীমা এখনো নেই,
তাই কী আমন্ত্রন জানায়
হলুদ মৃত্যু স্বহাস্য ভঙ্গিতে?


/২০-১১-১৩/