আড়াইটা বছর পরে,
তোমাকে লেখা আমার শেষ চিঠি।
অনেক বারেই ভেবেছি  লিখবো লিখবো  কিন্তু  লেখা হয়ে উঠেনি।
হয়তো ব্যস্ততায় ভুলেছি, আবারো  মনে হয়েছে
তোমার  কাছে এই চিঠি  পৌঁছাবে কিনা?
অথবা
সেই চিঠি  পেয়ে আমার নাম দেখে,
রাগান্বিত হয়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিবে তার ভয়ে।


তুমি হয়তো  ভাববে, হঠাৎ করে এই  উড়ো চিঠি,
আসলে ________  
  পুরানো  ডায়েরি টা খুলতে গিয়ে তোমার নাম, আর তোমার ফোন  নম্বরটা ভেসে এলো।
ভাবলাম একবার ফোন করি,
আবার ভাবলাম  যদি তুমি আমার ফোন পেয়ে রেগে যাও।
তাই হৃদয়ের মধ্যে জমে থাকা না বলা কিছু কথা এই উড়োচিঠিতে পাঠিয়ে  দিলাম।


সম্ভবত  ত্রিশ এ মে তোমাকে প্রথমবার ট্রেনে দেখেছি।
তুমি তোমার  মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলে।
তোমার কালো কেশ বাতাসে দোলা খেয়ে গোল মুখে উপচে পড়ছিল,  যেন চাঁদের গায়ে কলঙ্ক  ধরেছে।
সেই ভীড় ট্রেনের মধ্যে শুধু  তোমাকেই দেখেছি, আর ভালোবেসে ফেলেছি।


তখনো আমি অজানা  তুমি বিবাহিত,
প্রথমবারের জন্যে বললে তুমি বিবাহিত  এবং ডিভোর্সের কাঠগড়ায়।
আমি একমুহূর্তের জন্য আমার কানকে বিশ্বাস  করতে পারিনি।
তোমাকে না জেনেই  প্রোপজ করাটাই হয়তো ভুল ছিল।
তার জন্য হয়তো জানাতে বাধ্য হয়েছিলে তুমি বিবাহিতা।
তখনো তোমায় ভালবেসেছি।


তোমার জীবনের ব্যাকুলতা, তোমার কষ্টের কাহানী, ডিভোর্সের সাক্ষী  আমাকে করেছিলে।
তখনো তোমার পাশে থেকে ভালোবেসেছি।


তোমার সেই শেষ ম্যাসেজটা ভাবলে আবাক লাগে, মনকে দোলা দেয় --
আমি জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি , যন্ত্রণায় ভুগেছি, তিলে তিলে জীবনটা নরকে পরিণত  হয়েছে।
তোমাকে নিয়ে নতুন করে বাঁচতে চাই।
প্লিজ  আমাকে ছেড়ে  চলে যেয় না।
সেই যে আমাদের প্রেমের শুরু,
কত রাত গেছে, দিন গেছে সবিই আজ অতীত।
আমার ভালো  মনে আছে, তোমাকে যতবার দেখেছি  তোমার সবুজ রঙের ড্রেসে যেন রাজপরী।


সবকিছু বদলে গেল  তোমার পাওয়া  চাকরীটায়,
চাকরী টা পেয়ে তুমি সত্যিই ছেড়ে  দিবে তা আমার কল্পনার বাইরে।
দূর থেকে তোমার মতো  ওই সবুজ ড্রেসে যাকে দেখেছি ,  মনে হয়েছে তুমি।
আমি ছুটে গেয়েছি, কিন্তু  বিমুখ  হয়ে ফিরতে হয়েছে।
আমার এই চিঠি তোমার প্রতি, তুমি কেনো ছেঁড়ে চলে গেছো  তা জানতে নয়,
আমার এই চিঠি সত্যিকারের তোমাকে ভালবাসতে  পারেনি,আর তোমাকে ফিরানোর চেষ্টা  করেনি।
তার জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
             ইতি তোমার হতভাগা ভালোবাসা।