ভিসুভিয়াসের পাদদেশে একদিন
গড়ে উঠে পোম্পেই নগরীর গোড়াপত্তন।
গ্রীক শাসন অববাহিকায়, রোমান
শাসনে বিশ্বাধুনিক নগরী করে পদার্পণ।


বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ঐতিহ্যবাহী
"প্রমোদতরী-সরাইখানা" হলো পরিণত।
ব্যবসায়িক মূল কেন্দ্রবিন্দু-শিরোপা
অর্জনে হলো অভিনন্দিত জগদ্বিখ্যাত।


ভিন্ন দেশের বণিকগণের যথারীতি
হলো রমরমা রসাত্মক সমাগম।
বিলাসবহুল জীবন ও রঙিন খেলা মত্ত,
বিশ্ব-ধণিক শ্রেণীর পদচারণা রমারম।


অনাচার যৌনচার আর সমকামীতা
ছিল গর্বের ধন অতিমামুলি ব্যাপার।
আপাময় জন সাধারণ, রাজপত্নী সবাই
ছিল যৌনচারী-দেহভোগী রত্নসম্ভার।


ব্যাভিচারে অর্জিত দৌলতের আধিক্য
হতো তাদের সুনির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ।
পুরো শহর হয়েছিল পতিতাপল্লী, রাজস্বের
মূল বুনিয়াদ, ব্যবসার মূল উপকরণ।


অতিমাত্রায় পাপবোধ, অনাচার আর
যৌনচারে একদা প্রভূ হলো ভীষণ ক্ষিপ্ত।
সংলগ্ন ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতের
প্রজ্জ্বলিত লাভায় করল তাদের ভর্ষ্মীত।


আকাশ থেকে আগুন আর পাথরের
অগ্নিঝর-বৃষ্টির হয়েছিল তীব্র সমাহার।
পুরোপুরি বিধ্বস্ত নগরী হয়ে পড়ে নিশ্চিহ্ন,
ছাঁইয়ের স্তরে হলো সমতল ভূমি নির্বিকার।


জীবন্ত পোড়া মানুষগুলো গলিত লাভায়
জমাট বেধেঁ হলো ভস্ম মূর্তি রূপান্তরিত।
পুরো নগরী যেন মৃত্যুপুরী, ব্যাভিচারে লিপ্ত
অনেক ভস্মমূর্তি অতিঘৃর্ণীত-অনাকাঙ্ক্ষিত।


দুই হাজার বছর পূর্বে বিলুপ্ত হওয়া সমৃদ্ধ
নগরী, মাটি খনন কার্যে মিলে তার দর্শণ।
দেয়ালে অঙ্কিত যৌন কারুকার্য নিখুঁত
চিত্রকর্মে প্রস্ফূটিত পাপের স্বাক্ষী চিরন্তন।


নভে২৬, ২০২২