জ্যোৎস্নার আলোয় পুলকিত চিরচেনা সেই আম্রকানন
বসন্তের বাতাসে দোদুল্যমান কচি মুকুল,
ডাহুক পাখিটার সেই বিরামহীন ডাক
উঠোনের ফুল বাগানে শোভিত হরেক রকম ফুল।
বকুল ফুলের প্রাণজুড়ানো মিস্টি গন্ধ
কল্পনার রাজকন্যাকে নিয়ে সেই কল্পিত গল্প,
মস্তক জুড়ে সেই গল্পের পুনঃপুনঃ ঘুরপাক
যদিও কল্পনা বাস্তব হবার সম্ভাবনা খুবই অল্প।
নুপুরের ঝনঝন শব্দে মুখরিত চারদিক
ফর্সা পায়ে শোভিত লাল রঙের আলতা,
ক্ষণকালীন ঝিঁঝিঁ পোকার অসহায় আত্মসমর্পণ
কারন হয়তোবা রাজকন্যার রুপেরই তীব্রতা।
কপালে লাল টিপ,কাজল রঞ্জিত দুটি চোখ,
জোৎস্নাও চুপিসাড়ে যেন সৌন্দর্য করছিল উপভোগ।
চারদিক নিস্তব্দ,নতশীর আশেপাশের বৃক্ষরাজী,
যেন নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে আজই।
গোলাপি আভায় সিক্ত ওষ্ঠ দু'খানা
বাতাসে দোদুল্যমান উন্মুক্ত এলোকেশ,
খোঁপায় শিউলি ফুলের মালা গোজা
এক কথায় এ যেন এক কল্পনারই দেশ।
হটাৎ রাবনরুপে একখন্ড মেঘকুঞ্জের আগমন
জোৎস্নাকে পদতলিত করে তার কুৎসিত উন্মাদনা,
তাই কল্পনার কল্পিত জগৎ থেকে আমি
স্বপ্ল সময়ের জন্য হয়েছিলাম আনমনা।
মুহুর্তের মধ্যে অন্ধকার গিলে ফেলে চারদিক
ধরণীজুড়ে শুরু হয় একধরনের আহাজারি,
হুটোহুটি-লুটপাট,কুকুরের ডাক,শিশুর কান্না
এই ফাঁকে আমার রাজকন্যা চলে গেছে স্বপ্নপুরী।
শুক্ল পক্ষের প্রতিটা রাতেই আমি
বসে থাকি বকুল ফুলের মালা নিয়ে,
আমার কল্পনার সেই রাজকন্যার পথ চেয়ে।