জীবন যুদ্ধ জয়


ডালের বড়া বেচে বুড়ো, হরিদাসীর মামা
অভাবতো তার ঘরে রোজ দেয় হামা।
জন্ম দিয়ে স্বর্গে গেলেন হরিদাসীর মা
বাবাও আর বেশিদিন বেঁচে থাকলেন না।
লড়াই শুরু হরিদাসীর পাঁচ বছর থেকে
শেষে শেখে জীবনে ভীষণ ভাবে ঠেকে।
মামা মামী অতি ভালো তুলনা যে নাই
দুই ছেলে মামা মামীর যেন সহোদর ভাই।

বড় ছেলে রতিকান্ত, অনেক বেশি ধন
বাবা মায়ের সেবা করার নেই তার মন।
মামী অসুস্থ হল ছোট ছেলের জন্মের পর
শুয়ে বসে কাটে তার ওষুধের পরেই ভর।
হরীদাসীর এখন বারো, মালা বেচে রোজ
টাকা পয়সা আয় হলে তবেই মেলে ভোজ।
রাতের বেলা ডাল বাটে, পড়ে তারপর
ভোর বেলা দাসী উঠে মোছে ঘরদোর।


মামাকে সাহায্য করে মামীর সেবা নিরন্তর
আশীর্বাদ করে মামী ভালোবাসে সতন্তর।
হরির কৃপায় দাসী প্রথম হয় প্রতি পরীক্ষায়
বড়ো হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে প্রতীক্ষায়।
পড়াশুনায় হরিদাসীর হল অনেক নাম
গরীব তাই ছোট্ট মেয়ে পেলোনা কোন দাম।
তবু লড়ে গরীব মেয়ে করবে জীবন যুদ্ধ জয়
ভাইয়ের ও পড়ার টাকা জোগাড় করতে হয়।


মামা ভাগ্নী লড়াই করে, করতে হবে যুদ্ধ জয়
এমনি করেই হরিদাসীর বয়স বাইশ পার হয়।
পড়াশুনা আর গান গাওয়ায় সবার আগে যায়
গরীব তো তাই হরিদাসী সঠিক দাম কি পায়!
ডাল বড়া আর মালা বেচেই মেয়ে ডক্টরেট হয়
সাথেই সাথেই ভাইকেও সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায়।
হঠাৎ একদিন চিঠি আসে কলেজে পড়াবার
আনন্দে হরিদাসী মামা মামীকে জড়ায় বারবার।


আজকে হরিদাসী এক কলেজের উচ্চ প্রফেসার
মামী আজ সুস্থ তার ,মামা বড়ো দোকানদার।
ভাই তার ইঞ্জিনিয়ার, উচ্চপদস্থ এক কর্মচারী
নাম ডাক চতুর্দিকে মান সম্মান তার ভারী।
বড়ো বাড়ি বড়ো ঘর গড়ে তার ছোট ভাই
আজ ভীষণ  সুখি হরিদাসী অহংবোধ নাই।
বিয়ে হয় উচ্চ ঘরে খুঁজে পায় উচ্চ বংশ ঘর
একটি ছেলে একটি মেয়ে সুখি সংসার গড়।