একটা সাদা কাগজ আমার সামনে,
হাতে কলম, কলমভরা কালি,
কিন্তু লিখতে পারছি না।
হঠাৎ মনে হলো, কাগজটা আর কাগজ নেই,
কেমন যেন বিচলিত নদীর মতো আচরণ করছে।
ফ্যানের ঘটঘট শব্দকে মনে হতে লাগল নদীর স্রোতের আওয়াজ।
মুহূর্তেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল।
আমার সামনে নদী, বালির চেয়ারে বসা আমি;
একপাশে কাশবন,
প্রচণ্ড বাতাস; যেন সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
যেন ঐ পালতোলা নৌকার মতো আমায় নিয়ে ছুটবে দিগবিদিক।
এই বাতাসেও কোথা থেকে একটা পাখি এসে পাশে বসেছে,
ছেলেবেলায় ছবির বইয়ে এমন একটা পাখি দেখেছিলাম;
এতদিন পর কোথা থেকে এল সে?
পাখিটার গায়ের রং নীল,
আর ঠোঁট দু'টি কেমন আশ্চর্য রকম লাল।
এই লাল রংটিও কোথায় যেন দেখেছিলাম।
হয়তো মানুষ মৃত্যুর মিছিলে, নয়তো লাশকাটা ঘরে।
আমার আদিম সত্ত্বার সৎকার হয়েছিল যেখানে;
নদী, পাখি বাতাসে মিলিয়ে গেল,
চারদিক শূন্য, শুধু সামনে একটা কাগজ
আমার সামনে একটা সাদা কাগজ, কাগজ নয় কাফন।