আমার ও এক মন ভোলানোর গল্পকার ছিল,
ছিল তার কাছে অজস্র নিজস্রতার সুখ বিষাদের গল্প;
আমার ও তাতে চোখ বুঝে নেয়া সস্তি ছিল,
ছিল তাতে অগোছালো কিছু অনুভুতি;
যার গভীরতাও ছিল দীঘির বারির মত অল্প স্বল্প।
আমারও এক মন মাতানোর কল্পক ছিল,
ছিল তার কাছে সহস্র করুণ আহ্লাদের তৃপ্তির সুর;
আমার ও এক বুকে জড়িয়ে নেয়া আহ্লাদী ছিল,
ছিল তার দু চরনে বসন্ত হিমেল দুলানো একটুকরো নুপুর;
বহু অপরিমেয় বর্ষ অতিবাহিত হল,
একদা প্রেম ও ধীরে ষড়ঋতুর পরশে মুছে গেল;
সবকিছুর একদিন সমাপ্তি টানতে হয়,
তাই নয় কি? — এই বলে সে ফিরে তাকাই তার অন্য সঙ্গিনীর নয়নে;
বিলীন হয়ে যায় সেই বর্ষা মাতানো হিমেল দক্ষিনা হাওয়া ,
হারিয়ে যায় সেই বসন্ত মাতানো কোকিলের ডাক।
জ্যোৎস্না ও অন্ধকারের শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে নুয়ে পড়ে;
আকাশও ঢলে পড়ে এক অবিচল নীরবতায়।
তারপরও কেবল সান্ত্বনায় থাকি চিরকাল,
হৃদয়ে প্রেমের কোমল স্পর্শ শেষ হলে যুগে যুগে,
যেখান থেকে মানব নিরব প্রত্যাশা পেয়েছে চিরকাল সময়ের নিয়ন্ত্রতা সেই নক্ষত্রের থেকে;
সে ফিরবে কি?—
জয় বড়ুয়া আবির