দিন আমার আলোকিত সূর্যের আলোয়‚
রাত এলেই ডুবে যাই বিরহের কালোয়!


রাত এলেই একটা কষ্ট সমুদ্রবাহী জাহাজের মতো
আমার বুক দিয়ে প্রবাহিত হয়!
একটা কষ্টের পাহাড় তার সমস্ত কষ্ট
আমার বুকে ঢেলে দেয় পাষাণের মতো!


চোখ বুজলেই এক ঝাঁক পাখি আসে
এসে বসে আমাকে ঘিরে।
তারপর এক বাক্যে ডাকে বিষাদ সুরে!


আমি ওদের নাম দিয়েছি ‘বিরহ-পাখি’।


প্রতিটি পাখির ঠোঁটেই একটা করে বিরহের চিঠি।
চিঠিগুলো আমাকে দিতে আসে।
ভুল ঠিকানায় আসেনা!
চিঠির খামে বড় বড় অক্ষরে লিখা আমার ঠিকানা।


তারপর চিঠিগুলো হাতে নিয়ে সারারাত পড়ি।
চিঠির একেকটি অক্ষর যেনো বিরহের পাথর।
পাথরগুলো আঘাত করে আমার বুকে
আর আমি একেকবার মরি!


বিরহের যন্ত্রণায় নির্বাক কাদিঁ।
কেঁদে কেঁদে রাত পেরিয়ে যখন দিনের সূর্য উঁকি দেয়
তখন চিঠিগুলো পাখিদের ঠোঁটে তুলে দেই।


আবার সারাদিন পর রাত এলেই
পাখিগুলো ঠোঁটে করে নিয়ে আসে সেই বিরহের চিঠি।
আর চিঠিগুলো আমাকে কাঁদায়
বিরহের যন্ত্রণায়!


-


-------------------------------------------