চন্দ্রমা, তুমি যেনো এখন একটা গুহার ভেতর।
যেখানে চিরদিন, সূর্যহীন— ঘোর অন্ধকার।


সেখানে তোমার নিজস্ব একটা সূর্য। তুমি চাঁদের মতো
সূর্য-সোহাগে স্নিগ্ধ হও।


তোমার কাছে এখন শুধু তোমার সংসার;
আমাকে দেখো না আর - দেখতে পাওনা---


গুহার বাহিরে থাকা অই ঝর্ণা আর পাহাড় !


---------



বাবুইপাখি টি ব্যস্ত হলো বাসা বাঁধতে।
আর ওদিকে—
চড়ুইপাখি টি নাকাল ডেকে ডেকে!


ব্যস্ত বাবুইপাখি টি আর-
তাকাবে চড়ুইয়ের দিকে?


সেই বিকালে সঙ্গী হয়ে
উড়েছিলো রঙিন ডানা মেলে।
আর আজ চড়ুইপাখি টি মায়ায় কাঁদছে
বাবুইপাখি তুই পাষাণ হলে?


হায়রে অসহায় চড়ুই!


বাবুইপাখি টি পাষাণ হয়েছে তাই
চড়ুইপাখি টি কাঁদছে!


--------



.   শুনেছো কখনো তুমি মেঘ ভাঙা ডাক
       দেখেছো আকাশে কালো সাজ?
    জুমচাষে ধ্বসে পড়ে পাহাড়ের মাটি,
    সমুদ্রের বুক ছিঁড়ে চলে গো জাহাজ;


         কাল ছিলো ডালে পাখি দুটি
    হারিয়ে পাখিকে- পাখির করুণ ডাক!


        অগ্নুৎপাতে ভাঙে মাটির ভাঁজ
                   ভাঙছে আজ।


--



এক যোগ এক যোগ এক→ তিন→ বিয়োগ এক→ ২।


কাহিনী,
এক আর এক দুই→ সে আর আমি।
দুই আর এক→ তিন। (অদ্য যোগ এক→ তার স্বামী)


তারপর,
১+১+১-১ → ২ → সে আর তার স্বামী→ একটা সংসার। (এখানে যে সংখ্যা বিয়োগ হলো সেটা আমি)


যদি, এক- - - শূন্যস্থান- - - -এক→ দুই হয়
তাহলে শূন্যস্থানে শূন্যই বসবে। ( শূন্য টা আমি )


শেষকথা, প্রথমে বিয়োগ হয়ে এক আর তারপর শূন্য।



অচিরেই বিলুপ্ত হবো’


        আর খুঁজে পাবে না একমুঠো আনন্দ।
               ঠোঁটে হাসির চিহ্ন নেই,
            চোখে মায়ার লেশমাত্র নেই,
                  জিহবায় স্বাদ নেই
     এক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সবই এখন বিস্বাদ!


                   খাঁচায় ঝাঁপটাচ্ছি।
      একদিন ঠিকই উড়ে যাবো মুক্ত আকাশে
  গিয়ে লুকাবো সাদা কিংবা কালো মেঘের ভেলায়।


              আর যদি ফিরে আসতে হয়,
      তাহলে আমার সবকিছু ফিরিয়ে দেবে কে?


ক্ষমতার ইশারা”


আসামি হলো সেই নির্দোষ লোকটা
যে আযান হলে জেলখানায়- জায়নামাজ খুঁজে।


ফেটে যায় বুকটা-
টাকার কেনা বিষ খেয়ে মরে গেছে ন্যায়!
নির্দোষী সাজা সয় চোখ বুঁজে?
দোষী সেজন ছাড়া পায় ক্ষমতার ইশারায়।