জালিমের চিন্দান খানা।
জালিমের চিন্দান খানা
উচ্চ-প্রাচীর,বালাখানা,
অট্‌রালিকার লৌহকপাট
কররে লোপাট বাঁধা ভেদি।
ওরে ও দুর্জয় বীর
ভাংরে লৌহ প্রাচির
উচু করে শির আঘাত হেনে
রাঙ্গা খুনে রাঙ্গিয়ে দেনা।
জালিমের চিন্দান খানা।


বাজে ঐ প্রলয় বিষান।
শুন ঐ প্রলয় বিষান,
হস্তে কৃপাণ আগায় কৃষান
রক্ত জমাট রক্ত জমাট
পিছিল পথে।
হোক আজ হানাহানি
আগারে বীর সেনানী
সম্মুখ পানে দুর্ভিমানে
রক্ত সাগর পারি দিয়ে আজ
ঐ ক্ষত ধুতে।


চাহি দেখ ঐ বিষের বাঁশী।
দেখ ঐ বিষের বাঁশী
রাশি রাশি মারছে ছোবল
প্রভাত নীড়ে।
কত দিন সইবিরে আর?
কত দিন সইবিরে আর?
লজ্জা-হায়ার মাথা খেয়ে
থাকবি কিরে?


আয় ছুটে আয়
অস্ত্র হাতে নয়ন পাতে
থাকুক না আর
অশ্রু জমাট।
মুছে ফেল নেত্র বারি
তাড়াতাড়ি হোক না খালি
নয়ন ভরাট।


মাররে লাথি,ভাংরে তালা,
আজগুবি সব বন্দীশালা
দিকে দিকে আজ এক আওয়াজ
আগুন জালা আগুন জালা।


২৯-০৬-২০১৪ ইং
রবিবার রাত ০২   ঃ ১০ মিনিট।