তবুও প্রহর গুনি ও বেলায় তোমার আসার
সময়ের কালস্রোতে ভাসমান ঘুরছো কোথায়?
অপেক্ষার গায়ে দাও বিষাক্ত বিষ বছরে হাজার,
ওঝা হয়ে বিষ জারি প্রাণবন্ত করি পুনরায়।
অগুনতি অপেক্ষার স্তূপে গড়ি উঁচু অট্টালিকা
দালান দেয়াল সেঁটে মরীচিকার আলো ছড়ায়।
তোমার মায়াবি মোহে ছলনার জলচ্ছবি আঁকা।
বৈরিতা ও প্রতিকূলে বাসনা অকালে নাশ হয়।
অপেক্ষার বাসি ফুল সুবাসে করি চিরতরুণ
খোলস ছাড়িয়ে জেল্লা ছড়ায় সময়ের শরীর
নব চেতনায় গড়ি অপেক্ষার অম্লান সোপান
আশার ভেলায় চড়ে চৌদিকে খুঁজি বারংবার।
নির্দয় তুমি সদয়ে এসে কর আমাকে বরণ
অনুর্বর খাঁ খাঁ জমি চাষাবাদে কর আলিঙ্গন।।