সি্ঁদুর মাখা সকালের আধো আধো
রোদ ঢেউ খেলে নির্বিঘ্নে
মীরার ওড়ানো চুলে।
আলতো করে ছেয়ে যায়
কঠিন কালো মেঘ দুষ্টমি করে।
আলতা মেশানো রোদ্দুর
মিলিয়ে যায় শাড়ীর ভাজে
ঢেকে পড়ে সুর্যের মলিন মুখ।


সকাল সাড়ে সাতটায়
প্রত্যেক দিনের মত আজোও
ব্যাগটি কাঁদে ঝুলিয়ে বের হচ্ছিলো
মীরা কলেজের উদ্দেশ্যে,
কিছুটা পথ এগোতেই
হঠাৎ বুক চিতানো বৃষ্টি।


ইচ্ছের বিরুদ্ধে অন্যদের মত
মীরাও ভিজে একাকার। 
কলেজের বারান্দায় দাড়িয়ে
মুখ মুছতে মুছতে
দেখেছিলো রোদ বৃষ্টির
খামখেয়ালিপনার অনন্য রুপ।


এ কেমন বৃষ্টি?
কেন আমাকে ভিজতে হলো
অসংখ্য প্রশ্ন নিজেকে,
সকাল বেলার অতিথি বুঝি!
বৃষ্টির ফোটা পড়ার দৃশ্যটি
কোন উত্তর দিতে পারেনি।
ভেজা চুলে সিঁড়ি বেয়ে উঠে
নিজেকে আয়নায় দেখেছিলো।


ক্লাসে শুরুতেই স্যার জিজ্ঞেস করলো
এই মেয়েরা তোমরা আয়নায়
এতটা কি দেখছো?
স্যার আয়নায় মুখ দেখার
ফি,
যখন আমাদের দিতে হয়,
তাই আয়ানাটা সুস্থ কিনা
রোজ দেখি।
---------------------
তারিখ,২২/০৬/২০২২,ইং
রোজ:বুধবার,
সময়:০৪:০২৫,মিঃ,