যাবে তুমি আমার সাথে, আমার জন্ম দেশে
সেই খানতে নানান মানুষ  থেকে নানান  বেশে।
রাখাল বাঁশি হাতে লয়ে যায় গরু
গ্রীষ্মের দুপুরে নদীর বালুরচর মনে হয় মরু।


জোয়াল লাঙ্গল কাঁধে তুলে কৃষক যায় মাঠে
তরাতে তরী নিয়ে মাঝি আছে ঘাটে।
পৌষালি ফসল দেখে কৃষাণীর হাসি
বট গাছের নিচে বসে রাখাল বাজায় বাঁশি।


আমার দেশের দীন মানুষ বাঁশ বেতের ঘর
জীবনে আসুক যত ঘাত প্রতিঘাত কেউ নয় কারো পর।
চন্দ্রমাতে ছেলেমেয়ে খেলে নানা খেলা
যারা খেলে না তারা দেখে গগনে তারকার মেলা।


মধুকীটরা মধুর জন্য ঘোরে ফুলে ফুলে
বর্ষাকালে  আমার দেশে জল কূলে কূলে।
হৈমন্তিক ফসলে নবান্ন আর পিঠে
আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণ করে মানুষ পৌষের শীতে।


আমার দেশের মানুষ লোকাচার লোকরীতি মানে দৃঢভাবে
গুরু সম্মানে আমার দেশের মানুষ সবার আগে রবে।
ফুলে ভরা ফলে ভরা এ আমার দেশ
দেখে তুমি বলে ভাই আহা কি বেশ বেশ।


আমার দেশের হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান
দেখে মনে হয় পরস্পর একে অন্যর প্রাণ।
আনন্দ আর উৎসবে আমার দেশ রয়েছে ভরে
আনন্দ করে বাংলার মানুষ ঘরে ঘরে।


তুমি কি জানো,জানো ভাই আমার দেশ সোনার ছবি
কুলি মজুর কামার কুমার জেলে চাষা তার সংগ্রামী কবি।
আমার দেশ দেখলে ভাই তোমার মন জুড়াবে
বল,বল সময় নিয়ে আমার দেশে ভাই কবে যাবে।


আমার দেশ দেখার জন্য ভাই তোমাদের সাদর আমন্ত্রণ
কেহ ভূলে আমার আমন্ত্রণ করো না বর্জন।