সেই দিনে এই মাঠ এরূপ ছিলো না
ছিলো বিশাল জনাকীর্ণ,ছিলো জনসমাগম।
সেই দিনই ছিলো বাংলার শ্রেষ্ঠ বিকাল
এই বিকাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অদ্বিতীয়
এ এক নতুন কাব্যের মেলা ।
নিস্তব্ধ নিরব ছিলো চারদিকের পরিবেশ
তরুলতায় বসে আছে ঝাকে ঝাকে সাদা পাখি
কাব্য শুনবে-
অধীর আগ্রহে বসে বন্ধুর মাটিতে
দশ লাখ জনগণ
কাব্য শুনবে-
কানাকানি করে বলে, কখন আসবে কবি
কখন শুনাবে তার অমৃত কাব্যখানি
জনতা ব্যাকুল হয়ে বসে আছে কাব্যের মাঠে।
হাজার বছরে এরকম কাব্য রচার মতো কোনো কবি ছিলো না বাংলায়
হাজারো কবি এই বাংলায় এসেছিলো
কেউ রচেনি বাংলার শ্রেষ্ঠ বিকালের কাব্যখানি।
শত বছরের শত সংগ্রাম পদ্মা মেঘনা যমুনায় ভাসিয়ে
বহু প্রতীক্ষার পর-
অমৃত কাব্যখানি ব্যক্তের জন্য
কবি এলেন কাব্যের মঞ্চে
এ কাব্য অদ্বিতীয় বিশ্বব্রহ্মান্ডে।
তুমিই প্রথম কবি এই কাব্যের
যার বিয়ষবস্তু ভিন্ন -
কাব্যখানি যখন তুমি করলে ব্যক্ত
তখন তুমি বলেছিলে
ওরা আমার ভাইয়ের ঝরিয়েছে বুকের তাজা রক্ত ।
বলেছিলে বাংলার মানুষের উপর করা
পাশবিক পৈশাচিক নির্যাতনের কথা
আরও উদ্ধত তর্জনী বলেছিল-
বাঙালির অধিকার স্বাধীকারের কথা।
কাব্যখানি ব্যক্তের সময় মনে পড়েছিলো
যেন লক্ষ কোটি তারকারাজির মধ্যে
তুমিই এক উজ্জ্বল পূর্ণিমার চাঁদ
তোমার সেই আলোতে বাঙালি
আলোকিত হয়ে
নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র হয়েছে
ঝাপিয়ে পড়েছে দেশ রক্ষায়।
রচনাকালঃ
২০-০৩-২০২০
উৎসর্গঃ
(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে)