ফুলে ফুলে ভরে গেছে ঐ পথের ধারের
পলাশ আর কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
সেই কবে থেকে কোকিল গাইছে প্রাণ খুলে
ঐ জানালার পাশের স্রোতস্বিনীর ধারে গাছটায়।


কথা ছিলে এই বসন্তে খোকা তুই আসবি
ওহে খোকা আজ বসন্ত প্রায় শেষ,
তুই কেন আসছিস না কেন?
এই মা তো তোর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে
দিবানিশি সতত,
খোকা তুই কবে আসবি বাবা
কবে আসবি,
আমি তো তোর জন্য বাসন্তী ফুলের স্তবক রেখেছি
কণ্টকাকীর্ণ গাছের সৌরভের ফুলে তৈরি।


খোকা সেই দিন নাকি রাজপথে ফুটপাতে হাজারো
ছাত্র জনতার উপর পাকিস্তানিরা মেশিনগান চালিয়েছে,
খোকা তুই কি সেখানে গিয়েছিলি বাংলা ভাষার জন্য
পাকিস্তানিরা তো বাংলার উর্দু ভাষার চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল,
তা তো হাজারো ছাত্র জনতা সংগ্রাম করেছে।
খোকা তুই কবে আসবি বাবা,
কবে আসবি,
তুই মোর নাড়ি ছেঁড়া একমাত্র ধন,
খোকা তোর প্রতীক্ষায় আজ এই জনম দুঃখনী মা,
কবে আসবি তুই খোকা
কবে আসবি ।




রচনাকালঃ
৩১/০১/২০২১