বাবা আমার গাছের ছায়ার মতন।
বট বৃক্ষ কিংবা পদ্মের সরোবরের মতন।
বাবা আমার তৃঞ্চায় শীতল জলের মতন।
প্রখর রোদে ছাতার মতন।
রোগ শোকের বহন করে,
বার্ধক্যের বুড়োর মতন।
বাবা আমার চাঁদের আলো,
কৃঞ্চ রাতেও ভাস্বর আলো।
বাবা আমার হাটতে সেখার বড়ো অনুপ্রেরণা,
আমি কী হতে পেরেছি ঐ গাছের ফল কিংবা পাতা?
বাবা যদি গাছ হয় আমি তার ফল।
আমি তো ভালো ফল হতে পারি নি।
মিষ্টি ফল নয় তেতো ফল।
তারে ডাকতে পারি নি প্রীতিপ্রদ।
মনের দরজা খুলে কন্ঠ দারাজ করে বলতে পারি নি ভালোবাসি।
তাহার ঘারেই চেপে বসে দেখেছি আমি বিশ্ব।
কত দুলাল দুলালীর জন্য বাবারা বার্ধক্যে হয় নিঃস্ব।
মায়ের সাথে যতটা সখ্য,
তা বাঁবার সাথে হয় নি।
মায়ের প্রেমেতে প্রেমো প্রবন্ধ,
বাবার প্রেমে কবিতাও লেখিনি।
বাবা যদি হয় সংসার রাজা,
কাহলে তো মহা কাব্য হয়।
তাহলে কেনো দুনিয়াতে শুধু,
বাবার তরে কবিতা নয়।
প্রেয়সীর প্রেমে মত্ত হয়ে,
করেছে দরগায় মানত।
বাবার জন্য দোয়া করিলে,
দিবে কী খোদা লানত।
বাবা দিয়েছে সচ্ছ জীবন,
হয়েছে সর্বংসহা।
তাহার জন্য ছিন্নি করিনি,
হয় নি ছদকা দেওয়া।
তাহার জন্য দোয়া করিনি,
মৃত্যু হোক শান্তির।
সদকায়ে রোজা রাখিনি আমি,
ঘুচাক শত ক্লান্তি।
আজ বাবার নামের খোলা চিঠি,
চন্দ্র সূর্য দাও রে দিঠি।
হও গো বাবা জান্নাত বাসী।
তোমাদের করলাম প্রত্যক্ষদর্শী,
ছড়িয়ে দিলাম নিহারিকায়।
বেচে থাকুক এই পত্র,
বেচে থাকুক বাবার নামের এই কবিতা খানি।
পৌছে যাক আরশে আজিমে,
ধন্য-হোক জিন্দেগানি।