আমি হতে চেয়েছিলাম সোনালী ডানার শালিখ,
বন্দুক তো সে স্বাদ টাও মিটে দিয়েছে।
মরতে চাই স্বাধীনভাবে,
পাপ পূণ্যের হিসাবের জন্য রয়ে যাই ধুলোর দুনিয়ায়।
এই ধূসর শহর যেনো যন্ত্রণা দেয়।
ধুলিমাখা এ-শহরে বাচার আকুতি হারিয়ে ফেলেছি।
বর্ণবাদীদের কারনে পাতিল রঙা দেহ খানি গোপনে রেখেছিলাম।
যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য সার্জারী করে দেহ কে সাদা ধবধবে  ব্লিচ করেছি।
গায়ের রং তো আমার হাতের প্রলেপ নয়।
ভয় হয়,
হোক ধর্ম কিংবা রাজনীতি,
কোন দল করি না জন্য বুঝি কাপনের কাপড় পরানো হবে না আমায়।
আমি যুদ্ধ জিঘাংসা দেখে নমনীয়তা হারিয়ে ফেলেছি।
মানুষ হতে চেয়েছিলাম অমানুষ হয়েছি।
হিটলার মুসলিনি ও উগ্রবাদীদের জন্য আমিও ঠোঁট কামড়ে জ্বলে
উঠি দাউ দাউ করে।
যখন ইচ্ছে তখন যার তার বিরোধিতা করা যায়।
অনিয়ম দেখে নিয়মের প্রতি বিশ্বাস উঠে গিয়েছে।
হতে চেয়েছিলাম সৎ ও নির্ভীক মানুষ।
কালোবাজারি সিন্ডিকেট দেখে সততাকে বিলিয়ে দিয়েছি।
আমি বেকার,
আমি বেকারের আর্তনাদ।
আমি কোনো আমলার ছেলে নই।
আমি কিষাণের ছেলে বলছি।
আমলা হতে চেয়েছিলাম,
এখন দেখছি কৃষক হওয়াই শ্রেয়।
আমি গভর্নর হতে চেয়েছিলাম,
এখন গনতন্ত্র মানে যে কী,
তা বলতেও ভয় হয় আমার।
হয়েছি ঘাম ঝড়ান শ্রমিক।
আমলা হওয়া নিদারুণ সুখের বিষয় হলেও,
আমলা হওয়ার ইচ্ছে মরে গেছে।
আমি শিক্ষিত বেকার,
আমি কর্পোরেট জগতের ইঁদুর দৌড়ে আটকা।
আমি পরবর্তী প্রজন্মকে এমন  শিক্ষার থেকে দূরে যেতে বলবো।
আমি উচ্চ শিক্ষিত নই।
আমি শিক্ষিত বেকার নই।
আমি ভার্সিটি পড়তে চেয়েছিলাম,
এখন অষ্টম পাস।
আমি অষ্টম শ্রেণী উত্তির্ন হয়েও,
কোর্ট প্যান্ট পরার যোগ্যতা রাখি।
আমি তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতদের ভেংচি কাটি।
এখন মানুষ নয়,
অমানুষ হওয়াই সন্মানের।