রজনী ক্লান্ত বেশ-
অশ্রুর ফোটা গুলো গুনতে গুনতে।
ফাল্গুনী পবন হৃদয়ের তালে তাল মেলায়;
কখনো ধীর, কখনো জানলার কাচে আন্দোলন জাগিয়ে।
নিস্তব্ধতার কোলে ঠাই হতে যাচ্ছে বুঝি আমার।
অর্ধ ফুটন্ত,বৃন্তচ্যুত কলির ন্যায়-
রক্তিম লোচনে আর পরিষ্কার  দৃষ্টি নেই।
সেই মায়াবী মুখখানি স্থির হয়ে আছে
সমগ্র অনুভূতিতে।
আজ মনে পড়ছে-
কতবার তোমার অশ্রুপাত করিয়েছিলাম।


অপরাধীর কাষ্ঠে দন্ডায়মান আমি।
কিন্তুর শাস্তির ধারা মিলছেনা।


মাকে একটা চিঠি লিখবো-ভাবছি।কলমটাও খুঁজে পাচ্ছি না।
মা ক্ষমা করবে কি আমায়?
২৫ বছরের জীবনে কষ্ট ছাড়া তো কিছুই দেইনি।
তবুও আশার আলো, সে যে আমার মা!আমার মা,আমার জন্য সব পারে।


তুমি মাকে বলে দিও-আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি।
মা যে তোমাকে খুব বিশ্বাস করে!
তুমি আমার এই কথা গুলো জানবেই বা কি করে?
বসন্ত বাতাস তো স্থির হয়ে গেছে। নাকি সে কান পেতে আমাকে শুনছে?নাকি চলে গেছে-
বসন্তরাতের উল্লাসে ভাসা জানলার ধারে???
আর,তুমি তো আমায় খুব বুঝতে!
পারবে কি আমার নিভে যাওয়া চোখজোড়া দেখে কথা গুলো পড়তে?


কখনো তো বলনি যে তুমি বন্ধ চোখের ভাষা ও পড়তে পারো।
আরে কি সব আবোল তাবোল বলছি?
তুমি তো আর কখনোই আমার কাছে আসতে পারবে না।
কিচ্ছু মনে থাকে না আমার।
মস্তিষ্ক অচল হবার আগে ভুল-ভাল সিগনাল দেয়?
নাকি পাগলের মতো হয়ে যায়???


আমি জানি আজ রাতে তুমি কিচ্ছু খাওনি।
খেয়ে নিও লক্ষী।
প্লেটে এখন থেকে আর বেশি করে খাবার নিও না কিন্তু।
আমি তো কাল আসবো না;কোন কালেই না।
আমি জানি আমাকে ছাড়া তোমার অনেক কষ্ট হবে।
কিন্তু ওরা তো বলেছে-
তোমাকে অনেক ভালো রাখবে;
কুড়ি বছর যেভাবে রেখেছে।
আচ্ছা শোন, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে,
চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বুক টা চিনচিন করে ব্যথা করছে।
একটু ঘুমাই-
দেখি ব্যথা টা চিরদিনের জন্য নি:শেষ করা যায় কিনা এখন ই।


আর শোন-
প্রতি বসন্তে,এমনই রজনীতে,
কিছু মানুষের বন্ধ চোখে,
এমনই অনেক কথা লেখা হবে।


সুযোগ পেলে পড়ে নিও।


আ আ আ মি ঘুমালাম কিন্তু....ঘুমালাম কিন্তু।