টিক টিক শব্দে কাঁটাগুলো অস্থির অবিরাম।
ঘুরতে ঘুরতে কোনো একদিন
অচলপ্রায় হয়ে উঠে ভালবাসার ঘড়িটি।
তবুও সচল রাখার কতো প্রচেষ্টা।
কখনো আবার মিস্তিরির কাছে,
হাতে পায়ে পড়ে কত মিনতি-
যন্ত্র-পাতির সংযোজন-বিয়োজনেও সম্ভব হলে তাকে টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস।


সুখ-দুখ,হাসি আনন্দের কত স্মৃতি-
কত কথা জড়িয়ে ছিল সকলের ঘড়িটির সাথে।
কিন্তু মিস্তিরি বেটার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া-
কিচ্ছু করার থাকে না।


ঘড়ির নির্মাতা তাকে তো আর অত কিছু শেখাননি।
সেঁ যে মহান ও সর্বেসর্বা তারই প্রকাশ ঘটাতে চান-
প্রতিটি ঘড়ির ধ্বংস-সৃষ্টিতে।


কখনো আরো কিছুদিন জোড়াতালি নিয়ে-
ঘড়িটি ঠাই পায় বিলাসবহুল কামরায়।


অবশেষে পরিবেশের বিরূপ ভেবে-
ঘরের কথা দূরে থাক,
তা আর আশেপাশেও রাখেনা ঘড়ি প্রেমিকরা।


দূরে কোন বাঁশ তলা কিংবা গাছতলায় পুঁঁতে রাখে।
কেউ কেউ আবার ভস্মীভূত করে,
কেউ বা আবার ভাসায় জলে।


তাহলে ঘড়িটির এত মূল্য কিসে?


চকচকে,উজ্জ্বল পরম যতনে রাখা রঙিন ঘড়িটির খোলস শুধুই মূল্যহীন।
মূল্য তার মায়া-মমতায় জড়ানো স্মৃতি আর আকৃষ্ট করার ক্ষমতায়।
অতঃপর ঐ স্থানে আসে নতুন কোন ঘড়ি।
আর নতুন ঠিকানার পুরনো ঘড়িটি,
নিজ স্থায়ী ঠিকানায় মিশে যায়-
মহাকালের পথ ধরে।


রক্তে-মাংসে গড়া প্রতিটি প্রাণও
এই তিক্ত সত্যের কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম নয়।