হে মধ্যরাত,
তুমি স্বাক্ষী কত শত জনমের;
তুমি দেখেছো-
কত সুখ-আনন্দের কালি কত কলমের।
হে মধ্যরাত,
তুমি দেখেছ কত যাতনা- যন্ত্রনা
নিশি-জাগা প্রানীর বুকে;
তুমি হেসেছো মধুর মিলনের
প্রেম- ভালবাসা দেখে।
তুমিই ভাল জ্ঞাত,
কত যুবক কেঁদেছে সর্বনাশী প্রিয়াকে ভেবে;
কত প্রেমিক সাতরায় সুখের সাগরে
যে প্রেম পেয়েছে সবে।
তুমি দেখেছো,
কত মেধাবী তরুন দেবদাসের মত হয়ে;
নষ্ট করেছে সোনার জীবন,যন্ত্রণা বুকে লয়ে।
তুমি দেখেছো-
কত জন্ম দুঃখিনী পীড়িত পুত্রের তরে;
প্রাণ বিনিময় করে আর স্রষ্টা কে ডেকে মরে।
তুমি স্বাক্ষী-
হাজারো বুকভাঙ্গা হৃদের,অভিশপ্ত নিঃশ্বাসের-
তুমি প্রত্যক্ষদর্শী,
কত স্বপ্ন আর প্রতিশ্রুতি-বিশ্বাসের ।
তুমি দেখেছো-
কত শিশু হঠাৎ ঘুমের সাথে,
মা, মা বলে ফুকারি উঠে হাতড়াতে-হাতড়াতে।
ব্যাকুল জননী মানিককে তাঁর জড়িয়ে নেয় বুকে,
মধ্যরাত, তুমি ঘুমের প্রতীক,
তবু ঘুম নেই তোমার চোখে ।
তুমি দেখেছো-
কত ছোট্ট চাকুরে সংসার চিন্তায় ডুবে;
মাথার চুলগুলো টেনে-টেনে ধরে,
শান্তি মেলে যদি তবে।
চাকরি না পেয়ে গ্রাজুয়েট ছেলেটার
কপোলে জল টলে;
তুমি দেখেছো-
দেউলিয়া ব্যবসায়ীর দুঃখ, যার বিনিয়োগ বিফলে ।
তুমি স্বাক্ষী,
কত নৃশংসতা, কত ব্যভিচারের;
তুমি দেখেছো কত চোরাচালান -
নেশার তিক্ত সাধের।
মধ্যরাত তুমি,
স্বাক্ষী হবে সহস্র ঘটনায়;
দেখবে,সইবে,ইতিহাস লিখবে সব জনমের পাতায়।
স্বাক্ষী হবে কত খবরের,
সাহিত্যিকের লেখনী গাঁথার;
মধ্যরাত তুমি,
বন্ধু আমার;তাই স্বাক্ষী এই কবিতার।