জন্মেছো যবে,অভেদ ভবে,
ছিলে যে মানুষ হায়;
হিন্দু,-মুসলিম,বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান
খঁচিত ছিলোনা গায়।


বয়স বেড়েছে,বুদ্ধি পেঁকেছে,
শিখেছো অনেক কিছু;
বোঝোনি আদম জাত-পাত ভেদ-
নিয়েছে যে তব পিছু।


মানুষের মাঝে গোত্র-পাত্র-
খুঁজেছো সবসময়;
ভেবেছো তুমি-সকল আদম
কি করে এক হয়?


শোন হে অধম,ভ্রান্ত তব-
অধর্মের এই বাণী ;
জগদীশ এক,পৃথ্বীও এক-
সকলেই মোরা জানি।


সকল মায়ের শুভ্র দুধে-
পুষ্টির মান এক-ই;
পিতৃস্নেহ,মাতৃস্নেহ-
হয়না কভু মেকি।


বৌদ্ধ -খ্রিস্টান, জৈন - পার্সি
সৃষ্ট একই ছাঁচে;
হস্ত,আঁখি,নাসিকা,কর্ণ-
কারো কি বেশি আছে?


বিষপানে নীল গাত্র সবার,
শ্বাসটা অক্সিজেনে;
হিংস্র- শান্ত প্রাণীও তোমায়-
মানুষ নামেই চেনে।


তবে যে কেন সাম্প্রদায়িক-
মিথ্যে আহাজারি;
মৃত্যুতে সবার নাম হয় লাশ
ছাড়তে হয় ঘরবাড়ি।


তবে যে কেন হাঙামা করো-
খোদার জগত মাঝে;
জাত-পাত ভেদ ভুলে গিয়ে আজ
রত হও সৎ কাজে।


আমরা যদি যাই গো ভুলে-
সাম্প্রদায়িক রোষ;
দু'এক দিনেই স্বর্গ হবে-
তামাম বিশ্বকোষ।