আমার অনাহারী কবিতা থেকে তোমাকে দেয়ার মত অর্থবহ শব্দ;
নিখুঁত আর ঝকঝকে প্রেম ছিল না আমার হলদে মলাটের খাতায়
সময়ের বড্ড অভাবে পরিপাটি একটা প্রেমের আক্ষেপ আমার রয়েই গেল।
আমি বোধহয় সেসময়ে কিছুটা ভালবাসতেই চাইতাম তোমাকে
প্রেম তো আমাদের ছিল না সেসময় এসময় কোন সময়েই,
সময়টা যে আমাদের ছিল আরও পিছিয়ে; দুজনেই শুনতাম বাংলাদেশ বেতার ঢাকা (খ)


খা খা দুপুরে জ্বলন্ত সূর্যের সাথে চোখ মিলিয়ে খুব ভেবেছি তোমার কথা,
ভেবেছি কোন প্রেমই কি চিরকাল থাকে না ? নক্ষত্রেরাও তো একদিন মরে যায়!
অবহেলা আর উপেক্ষার কষাঘাতে নিপীড়িত হতে থাকে মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রেম
ঠিক যতকাল সিলিং থেকে সিলিঙে গোত্তা খায় সম্পৃক্ত বাষ্প; সেই কালটাই চিরকাল।
ভাগ্যিস কোন প্রেম ছিল না আমাদের; ছিল কেবল ভালবাসতে চাইবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা


হৃদয় পোড়া হীরকে কেটে যায় যে চোখ
ও চোখে চোখ রেখো না; বড্ড ভয় লাগে স্ব-অস্তিত্বের জানান দিতে;
অস্তিত্বের জানান দিতে হয় প্রেমিকার বুকে;
উথাল-পাথাল ঢেউ তুলে দিয়ে নিজেকে করে ফেলতে হয় গুম!
প্রেমিকার চোখের হাহাকার বলে দেয়, সেটাই নাকি সর্বকালের সার্থক প্রেম !
সার্থক প্রেমের অসাধারণ মুলতবী ঘোষণা করে আমি হয়ে রইলাম কালোত্তীর্ণ প্রেমিক!
তোমাতে অধিকার অর্জন করার মত সুপুরুষ তো ছিলাম না কোন কালেই ।


লবঙ্গ এলাচের ঝাঁজ তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়
এক সময় তা বর্ণহীন সায়ানাইডের অম্লীয় স্বাদকেও হার মানায়
জীবন বলতে আমাদের আর থাকে না কিছুই অবশিষ্ট
পরিশিষ্ট জীবন বৃত্তান্তে রয়ে যায় একটি ভাঁজকরা পৃষ্ঠা;
বাহান্ন নাম্বার পাতায় একটি নীল ফিতার বুকমার্ক ।