বহুল প্রচলিত অর্থে পুরুষ বলতে যে বীর্যবান বলশালী হৃষ্টপুষ্ট পেটা লোহাকে বোঝানো হয়
তারই ঠিক বিপরীতার্থক শব্দটি অতটাই কোমল;
যার আদ্যাক্ষরে না বোধক নিষেধাজ্ঞা অথচ ভেতরে দুর্নিবার আকর্ষণ;
সে নারীকে যে রূপেই দেখা হোক না কেন, কামনার অভিলাষ কিছুতেই অনস্বীকার্য নয়।


কামনাকে ব্যবচ্ছেদ করে পাওয়া শেষোক্ত উচ্চারণটি না-বোধক হলেও;
মূলত তা কংসবতীর কঙ্কর দেহে পুরুষ প্রভুত্বেরই স্বীকৃতি।


পুরুষ দেহে কামনা থাকে না, সংক্রমিত হয় কেবল
কামনার আদি অগ্নি উৎপত্তি নারীতেই;
যেখানে প্রেমের শান্ত ঢেউ আছড়ে পড়লেও বেলাভূমিতে মণিমুক্তা সঞ্চিত হয়।
কামনা নির্ঘাত একটি সংঘাত জেনেও আঘাত পেতেই যেন পুরুষের বেশী লিপ্সা,
কেননা অগ্নি উত্তাপ ব্যতীত পুরুষ পাঁজরের পেটা লোহা যেমন গলে না
নারীর বুলন্দ দরজাও তেমনি উন্মুক্ত হয় না।


তথাপিও প্রশ্ন আসে,
ক্রমশ কাছে আসা পৃথিবীতে
ঘাড়ের উপর ফেলে দেয়া উত্তপ্ত নিঃশ্বাস হাতড়ে যে দেবী প্রতিমা কল্পিত হয় পুরুষ মানসে;
দেবী-দেহ হাতড়ে আচমকা স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠলে হৃদয়ের কালিমা তাতে কতটুকু মোচন হয়?