কবিতা:-আর এক গগনচুম্বী মূর্তি গড়ো
                মনোজ ভৌমিক


আর এক গগনচুম্বী মূর্তি গড়ো আরো এক বীরের এই দেশে।
ব্রিটিশ যার দাবি রেখেছিলো জীবিত বা মৃত শিরের অবশেষে।


বলতে পারো,তার মাথার মধ্যে বুদ্ধির অঙ্কটা কত ছিলো?
যার কারণে ব্রিটিশরা তারে মৃত ভাবতেই ভয় যে পেয়েছিলো।


স্বাধীনচেতা এমন বীর জন্মেছে বলো কবেএই ত্রিভুবনে?
একক প্রচেষ্টায় গড়েছিলেন যিনি 'আজাদ হিন্দ ফৌজ' জাপানে।


নারী শক্তিও যুক্ত ছিলো তার ওই স্বাধীন সৈনিক দলে!
ভাবতে পারো সেদিন ভাবনাটা তার কত উচ্চ ছিলো ওই মনে!


বজ্রদীপ্ত একটি বাক্য গর্জেছিলেন হৃদয় অনুরাগে,
"তোমরা আমায় রক্ত দাও,এনে দেবো স্বাধীনতা সবার আগে।"


স্বাধীনচেতা ভাবনাটা তার মনেতে ছিলো বড়ই অভিমানী,
তাইতো তিনি ঝোঁকায়নি মাথা,ছিলেন আপসহীন সংগ্রামী।


গদীর নেশা ছিলোনা মোটেই,ছিলো মা'কে স্বাধীন করার স্পৃহা,
থাপ্পড় খাওয়া ওই হীন ভাবনাটায় ছিলো যে বড়ই অনীহা।


ভাননাটা আজ ভীষণ ভালো,মনের মাঝে দেখছি ঘুরে ফিরে,
বলবে কি আজ,ভাবের মধ্যে ভাবনাটা সঠিক আছে কি লুকিয়ে?


মানুষী কান্নার গলাটিপে 'তাজমহল' গড়েছিলেন শাহজাহান,
অভুক্ত আজো দেশের মানুষ,হতাশায় শ্রমিক-কৃষক প্রাণ।


সঠিক মানের ভাবনা দিয়েই,ভাবটাকে করতে হবে গো জয়,
নইলে পরে আগামীতে দেখবে প্রাদেশিকতার বিজয়।