কবিতাঃ- হাস্যরসিক শিবরাম
✍️ মনোজ ভৌমিক


শিবরাম! শিবরাম! দিতে হবে বড় দাম,
আজকের এ জীবনে খুঁজে নাও ওর নাম।
হাসি যদি বাসি হয় এ প্রাণ যায় শুকিয়ে,
সময়ের দামি কথা ওর থেকেই শিখি হে।


হাসিটাকে ভুলে গেছে আজকের কত লোক,
হায়! হায়! করে ওরা মনে নিয়ে শত শোক।
যত রোগ, তত শোক, বিষাদের গান গাই,
হাওয়াদের বুকে চেপে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই!


একটু হাসতে শেখো ঐ কৌতুক ও রম্যে,
দেখবে এ জীবনের দুঃখ কিছু কমবে।
আসল এই সত্যটা আজ বলে নাতো কেউ ভাই,
তার কবিতা ও কৌতুকে বাঁচার স্বাদটা পাই।


জন্ম ডিসেম্বর তেরো, ছিল না দিন বেয়াড়া,
জন্মালো শিবরাম,অতি হাসমুখ চেহারা।
শতাব্দীর শূন্যগুলোয় ছিল না তো কোনো দুখ,
রাজ ঘরে জন্মেও পায়নি সে রাজার সুখ।


কৈশোর প্রেম তার  জ্বলেছিল আগুনে,
বুক ভরা বেদনায় হেঁটেছে সব ফাগুনে।
অভাবের তাড়নায় পেপার বেচেন তিনি,
কঠিন অধ্যবসায় সাংবাদিক হন উনি।


শিক্ষা তথৈবচ,তবু রুচি ছিল সাহিত্যে,
লক্ষ্মী সরস্বতী যদিও ছিল না একত্রে।
কৌতুক কাহিনী,রম্যে, জুড়ি মেলা তার ভার,
সাহিত্যে পেয়েছিলেন বহুবিধ পুরস্কার।


সমাদৃত উপন্যাস,বাড়ি থেকে পালিয়ে,
টুকিটাকি গল্প, কবিতা,গেছে সীমা ছাড়িয়ে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে সয়েছেন কারাবাস,
মেস-বিছানায় ছিল আজীবন সহবাস।


যান্ত্রিক এই জীবনে হাসি হোক যৌতুক,
এইভেবে লিখেছেন অজস্র কৌতুক।
কৌতুক রসে তার মন ছিল দানাদার,
নিজের জন্ম,মৃত্যু,নামে,রম্যটা মজাদার।


শেষের জীবন ছিল বড় বেশি অভাবের,
সরকারী অনুদান,রম্য ছিল স্বভাবের।
এমন হাস্যরসিক পাবে না এই ভুবনে,
দুঃখ বুকেতে চেপে হেসেছেন শেষ দিনে।