কবিতাঃ- হে অযোধ্যাপতি
✍️ মনোজ ভৌমিক


পাঁচশো বছর পরে তুমি ফিরে পেলে নিজ জন্মস্থান,
বেশ জমিয়ে হচ্ছে তোমার বিশাল রকম অধিষ্ঠান।
ভেবেই নিও ওটাও ছিল সময়ের এক নির্বাসন,
আমায় ছাড়া আজো তোমার সুসজ্জিত ঐ সিংহাসন!


কেমন করে বোঝাই তোমায় ওগো দেব পুরুষোত্তম,
বচন পূরণ,রাজধর্ম,এটাই যদি রাজার ধন,
কেমন করে বুঝবে রাজা সতী নারীর কোমল মন!
পতিব্রতা নারীর হৃদয় স্বামীতেই থাকে সমর্পণ।


মাটির বুকে জন্ম আমার,জনক রাজা মহান পিতা,
হরধনু ভাঙার পণে বৃথাই কি ছিল আমায় জেতা!
কী পেয়েছে ওই জীবনে বলতে পারো এক এ নারী!!
রাজধর্ম, মানব ধর্মে তফাৎটা কী?গোনাতে পারি।


রাবণ ছোঁয়া দেহ না হয় আগুনে শুদ্ধ একটিবার,
নির্বাসনে নারী অন্তঃসত্ত্বা!এটা তোমার কোন বিচার??
বারো বছর মুনি আশ্রম,তাতেও ছিল প্রশ্ন হাজার!
লব ও কুশের বীরত্বকে করেছো কি তুমি স্বীকার??


কত না হীন বাক্যবাণে জর্জরিত ও নারীর মন,
সন্তানের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কি অকারণ!
তোমার জন্য সব সয়েছি,শেষ কথাটা বড়ই ভার,
মা মাটিতে গেলাম মিশে, সহ্য যখন সীমার পার।


পুরুষোত্তম হয়েছো তুমি, প্রজার হীতে হে রাজন,
পত্নীর প্রতি উদাসীনতা লেখেনি কেন রামায়ণ?
কত লাঞ্ছনা, শত গঞ্জনা, সইতে পারে নারী জীবন,
লিখলে বুঝতে স্ত্রীর বুকের যন্ত্রণাটা অনুক্ষণ।


হে অযোধ্যাপতি,প্রভু শ্রীরাম,রাম রাজ হোক ভূ-ভারতে
পত্নী ধর্মের স্বমহিমায় সীতাও রবেন সদাই সাথে।