কবিতাঃ- যুদ্ধ শেষ হলেই (১০০০তম)
✍️ মনোজ ভৌমিক


কোনো এক  যুদ্ধ শেষ হলেই
জেগে ওঠে কবিতার কলরব!
অজস্র ধ্বংস স্তূপে খুঁজে ফেরে
চেনা জানা কতশত রক্তাক্ত শব!!
দু'চোখ ভরা অশ্রুতে বুক চাপড়ে কাঁদে সন্তান হারা মা!
বিধবা পত্নীর কেবলি নীরব আর্তনাদ!!
ধর্ষিতা বোনের খুবলে খুবলে খাওয়া শরীর!
বয়োবৃদ্ধ পিতার একান্তে গম্ভীর নিনাদ!!
বিকৃত শৈশব হয়ে উঠবে আগামী সভ্যতার প্রশ্ন চিহ্ন!
এ চিত্র যেন আদি হতে অনন্ত... শুধু ব্যাকরণ ভিন্ন।


শুকনো মাটিতে পড়ে থাকে রক্তে ভেজা জীবাশ্ম
দূর্বা ঘাস আর বিবর্ণ শিরীষেরা হয় একাত্ম।
বারুদের গন্ধ মাখা মৃতের স্তূপে  কবিতা খুঁজবে আপনজন...
খুঁজবে পরিচিত বাস্তুভিটে, যা ছিল বড়ই আপন!
যে শিশু দেখেছিল তার বাবাকে হাতিয়ার তুলে নিতে,
কার গভীর প্রতীক্ষায়... হয়ে থাকবে হন্নে!
সে সৈনিকের লাশ খুঁজবে...যে আত্মঘাতী হয়েছিল ব্রীজ ভাঙার জন্যে!!
যে প্রেমিক যুগল এক সাথে লড়াইয়ের শপথে রাইফেল হাতে দৌড়েছিল,
বিবস্ত্র,রক্তাক্ত প্রেমিকা কার ঠোঁটে শেষ চুমু আঁকছিল!
সেই অশীতিপর বৃদ্ধ...যে দেশ হিতে সৈনিকের বর্ম পরেছিল!
তার ক্ষত বিক্ষত শরীরটা লেনিনের ভঙ্গুর মূর্তিকে জড়িয়ে ছিল যেন!!
প্রশ্ন শুধুই রয়ে যাবে,ওখানে শান্তি ছিল না কেন?


কবিতা ওখানে আজ আর ধর্ম  খোঁজে না,
খোঁজে না জাতপাত বর্ণ বৈষম্য!
শৃঙ্খলিত মানবতাকে প্রশ্ন করে,বলো,!!
শকুন বিহীন এ মৃত্যুপুরী কার জন্য!!!


তবে কি এটা এই উদীয়মান সভ্যতার একটা কমা চিহ্ন!