কবিতা:- করতে হবে সব সমান ভাগেই ভাগ
কবি:- মনোজ ভৌমিক


নারী শব্দটাতে প্রকৃত মুল্যায়ন আজকে হওয়া চাই,
সঠিকভাবে সবাই বুঝলেও প্রকাশ করে না ভাই।
কারণটা জানলেও,শব্দটাকে প্রাধান্য দিতে গেলেই ক্ষতি,
মুখে আমরা বলি অনেক কিছুই, মনেতে শব্দেটার আহুতি।
একটুখানি ভালোভাবে নড়েচড়ে যদি চোখটি খুলে দেখি,
দেখবো আমরা ওই শব্দটা চিরদিনই পুরুষের কাছে মেকি।
আজ অনেকখানি পিছন গিয়ে, ইতিহাসের পাতাগুলি ঘাঁটি চলো
বলবে সবাই,"নারীকে কে কবে স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিয়েছে বলো?"
যুগটা বৈদিক, বিদূষী নারীদের অভাব কি সেথায়  ছিলো?
তার থেকে কেবল গার্গী- মৈত্রেয়ী-লোপামূদ্রাই বেরিয়ে এলো!
প্রকাশ করা সহজ ছিল না তাদের,সেই সমাজে মোটেই,
পুরুষ-সমাজ, ওদেরকেও জল খাইয়েছিলো অনেক ঘাটেই।
রামায়ণ মহাভারতেও পাতাতে যদি একটু চোখ রাখি,
ওখানেও নারীত্বকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হয়েছিল কি?
অহল্যা তো সতী নারী  ছিল,পতি ছাড়া কিছু জানত কি?
তবুও তাকে পাথর হতে হয়েছিল,নারী ছিলো বলেই কি?
আবার যদি বিক্রমাদিত্যের রাজসভাতে ঝেঁকে দেখি,
সত্য বলাতে মহীয়সী খনার, জিহ্ব কাটা হয় নি কি?
আজকে কিন্তু প্রাচ্যভাবনা বদলেছে অনেকখানি,
পর্দাপ্রথা একটু বদলালেও, মূখ্য বিলটা সমর্থন তো পায়নি?
অনেক ভাবনা অনেক কথা আজকে বলতে ইচ্ছে হয়,
বেশী বলতে গেলেই সবাই নেবে আজ ধর্মেতে আশ্রয়।
আজকেও দেখি চারিদিকে চলছে অবাধ নারী নির্যাতন,
প্রৌঢ়া-বনিতা তো আজ সাধারণ,শিশুকন্যারও হচ্ছে যে ধর্ষণ।
পরিসংখ্যানে চোখ রেখে করো নারী শব্দের সঠিক মূল্যায়ন,
ভোগ্যপণ্য নয় ওরা,নির্ভীক চিত্তে বলছে কি,"হয়েছে পরিবর্তন।"
ভাবনা বদলালেও মানসিকতায় রয়েছে অনেকখানি দাগ,
এবার কিন্তু এসেছে সময়,করতে হবে সব সমান ভাগেই ভাগ।


বি:দ্র:- নারী দিবসের উদ্দেশ্যে।