কবিতাঃ-মানবাধিকার
✍️ মনোজ ভৌমিক


মানবাধিকার খুঁজতে গিয়ে সংবিধানটায় ঝাঁকি,
ভাবনা হোথায় খাচ্ছে খাবি  বিধানেই দিই ফাঁকি।
সময়ের সাথে অধিকার বোধ বেড়েছে চারিদিকে,
মানুষ নামের ফানুস উড়াই আজকে দিক দিকে।


সেদিনও সেই লড়াই ছিল আজও তা দণ্ডবৎ,
চিনির জলে নুন লেবুতে গুলিয়ে খাই সরবৎ।
বলতে পারো মানবতা আজ রয়েছে বেঁচে কোথায়?
স্বার্থ এখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভাবনা মরছে ব্যথায়।


নিরাশ্রয়ে আশ্রয় দেওয়া ,নয় কি মানবতার ধর্ম?
স্মরণার্থীরা মরছে কেঁদে,কে পরাবে ওদের বর্ম??
সিরিয়ায় কেন জ্বলবে শিশু? আফগানিস্তানে কেন রক্ত??
প্যালেস্টাইন ও ইসরাইলের মানুষ,কোন অধিকারে রপ্ত?


আঁকচারা কাটো এখানে ওখানে,আমার আমার ধ্বনি!
কাঁটাতার জুড়ে উন্মাদনা গুলির আওয়াজ শুনি!!
মরছে মানুষ পশুর মত মানবাধিকার কোথা?
আগ্রাসী সেই ভাবনাটাকি বলবৎ নয় হেথা??


ফুটপাতে আজও রয়েছে মানুষ, রোদ, বৃষ্টি ,ঝড়ে,
নেতা মন্ত্রী সবাই দেখে,কার অন্তর কেঁদে মরে?
মানবাধিকারের গাইছি গান, মিথ্যে আজ এ ভুবনে,
ধর্ষণ,রাহাজানি ও করাপশন, নির্মূল বলো কোনখানে?


পশুপাখিরা বিলুপ্ত অনেক, ঠুনকো উন্নয়নের ভীড়ে,
সভ্যের মালা চড়িয়ে গলে,অসভ্যতা খাচ্ছে ছিঁড়ে।
শালীনতা আর ভদ্রতা যেন পুরাতত্বের ফসিল,
মানবাধিকার খুঁজতে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে খুঁজি দলিল।


শ্রমিক,কৃষক কাঁদছে বসে সারা রাজপথ জুড়ে,
মানবাধিকারের স্লোগান আজ যাচ্ছে কোথায় উড়ে!
হায়রে বিশ্ব! হায় কমিশন! কোথায় মানবাধিকার?
পরিচয় পত্র খোঁজোটা আজ,সময় বলছে দরকার।