কবিতাঃ- অভাব সর্বত্র
✍️ মনোজ ভৌমিক


অভুক্ত উনুন ছুঁয়ে চলে যায় উপোসী রোদ্দুর,
অমলকান্তির ছিন্ন বীণায় বাজছে বেহাগ সুর।
কান্না চোখে ধুলায় লুটায় সকালের শিউলি,
হাঁড়িকাঠে যেন রেখেছে মাথা মন হারা কাশগুলি!


উৎসব কবে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারেনি ওরা,
আস্তাকুঁড়ে চলছিল লড়াই উচ্ছিষ্টের ভাগ করা!
ভালোবাসা রঙ হেসেছিল হোথা,জেগেছে দুর্গা কালী,
এখন ওরা মনের সাথে ভাবনারও দেয় বলী।


চোখের সামনে পর হয়ে গেছে চেনা জানা আঙিনা,
তাদের সকাল মূক ও বধির আওয়াজও শোনে না!
স্বভাবের ঘরে লাগেনি আগুন এসেছে যতই অ-সুখ,
একশো দিনের কাজের জন্য সয়েছে অনেক দুখ।


তন্ত্রের মাঝে রয়ে গেছে ফাঁক ডিজিটাল এই যুগে,
ডিগ্রীর বোঝা ব্রাত্য হয়েছে সময়ের হীন রোগে।
পুরানো দিনের গল্প শুনবো,এ সময় চলে গেলে,
ওদের অভাব রয়েই যাবে এ সভ্যতা বেদীমূলে!


অভাব শুধু ওইখানে নয়,আজ অভাব সবার ঘরে,
ভালোবাসার অভাব কারো, কেউ ঐশ্বর্য খুঁজে মরে।
রাজার অভাব সিংহাসনে,প্রজার অভাব নিত্যদিনে,
নেতা মন্ত্রীর অভাব কাটে  আম জনতার কান্না শুনে।


অভাব এখন গানের সুরে, কবির কলম কাঁদছে হে,
ভালোবাসার রঙ বদলে, নারী পুরুষ ভুগছে যে!
স্বভাবটাকে রাখলে ঠিক, অভাবে থাকে না কষ্ট,
এই কারণে সৎ লোকেরা ভুবনে আজও শ্রেষ্ঠ।