কবিতাঃ-প্রশ্ন এখন সমাজ জুড়ে
✍️ মনোজ ভৌমিক


অন্ধ জীবন খুঁজছে আজ দ্বন্দ্ব কথার দীক্ষাকে,
বলতে পারো কোন চোখে আজ দেখছ সেই শিক্ষাকে?
পিঠ কাঁপানো বেতের বাড়ী তালু ফোলানো হাতটাকে!
লুকিয়ে নিয়ে চোখের জল মা'র আঁচলতলে মুখ ঢাকে।


অভিযোগ হীন অনুপ্রাসে ডাট পড়ত বড্ড বেশি,
ঘর কাঁপানো শব্দগুলো বুঝিয়ে দিত বদমাশি।
কড়া শমন আসতো ঘরে স্কুল কামাইয়ের তল্লাশি,
গাফিলতি লেখাপড়ায়? ঐ অভিভাবকের গড়িমসি।


শমন দেখেই দুলত ঘর  উঠত কেঁপে আপন পর,
বলত সবাই সুর মিলিয়ে, ছেলের উপর নজর কর।
প্রতিদিনের স্কুলটা ছিল ডাক-বকুনি শাসন ঘর,
কার পিঠেতে পড়বে ছড়ি!কে দাঁড়াবে বেঞ্চিপর!!


শাসন সাথে সোহাগ ছিল বড্ড বেশি চুপকথা,
গাধাগুলো মানুষ হবে ভাবনা ছিল সার সেথা।
কীটস বাইরণ ওয়ার্ডসওয়ার্থ ছিল যাদের কন্ঠগত,
পাঞ্জাবী আর ধুতির সাথে মিল খেত না সম্ভবত!


বঙ্কিম আর রবীন্দ্রনাথ ওষ্ঠ ছুঁয়ে থাকত সদায় ,
ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে আর্যভট্ট নিত না বিদায়।
তাদের চোখে ভালো ছেলে স্কোর করতো দশে আট,
পিঠেরপরে হাত বুলিয়ে বলতো, এরবেশি! বালাইষাঠ!!


গাধা পিটিয়ে ঘোড়া তৈরির ছিল তাদের বড় কৌশল,
স্মৃতির পাতা ঘাঁটতে গেলে দেখি হেথায় অথৈ জল!
পাশফেল হীন শিক্ষায় আজ গুগল মশাই বাড়ায় বল,
নকল শিক্ষা হাতের মুঠোয় আসল আজ হয় বি-কল!


ভালো মানুষ গড়ার মন্ত্র আজকে হেথায় গজব হে,
বিলুপ্ত সেই শিক্ষাগুরু সময় আগুনে জ্বলছে যে!
সময় এখন বড়ই কঠিন শিক্ষা এখন নেই যে সৎ!
প্রশ্ন এখন সমাজ জুড়ে বাঁচবে কি ক'রে ভবিষ্যৎ!!