কবিতাঃ- শিকড়
✍️ মনোজ ভৌমিক


প্রতিদিন বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে হাঁটি,
অতঃপর ক্লান্ত কায়া নিয়ে ছুঁয়ে নিই ঘাস-মাটি।
সায়াহ্ন ঈশ্বর ধীরে ধীরে দিগন্তে ঘুমোয়,
চারিদিকে নাভিশ্বাস ওঠে উষ্ণ আবহাওয়ায়।


শিশুটি গুটি গুটি পায়ে সামনে আসে,
জানি ও আমার আদর ভালোবাসে।
হাজার প্রশ্নের জটলা ওর চোখে মুখে!
কৌতুহলী চোখ উত্তর খোঁজে আমার সম্মুখে।


আজ ও আমার পাশ ঘেঁষে এসে বসে,
আড়চোখে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসে।
দাদাভাই,ঐ উইক্যালিপ্টাস একাই সবারে ছাড়িয়ে আগে!
আর ঐ বৃদ্ধ বট অজস্র শিকড় ঝুলিয়ে কেন মাটি ছুঁয়ে জাগে!!


ক্ষণকাল চুপ করে রই ওর অদ্ভুত প্রশ্ন শুনে,
উত্তর খুঁজি ওর ডাগর ডাগর দুই নয়নে।
শোধাই ওরে বড়ই আদর সোহাগ ভরে,
সোনা, সময়ের কাঁটা আজ ঘুরছে অন্য ঘরে।


শিকড় উইক্যালিপ্টাসের শুধু বাঁচার রসদ, সম্পর্ক নয়।
তাইতো ওদের আকাশ ছুঁয়েও থাকে সদা ভয়।
বটের বুকে সম্পর্কটা সদাই বুনিয়াদী,
ভুলতে চায় না শিকড়ে,ও যে ওর আদি।


বড় হয়ে মানুষ হোস,বুঝবি এর সঠিক মানে,
নইলে প্রশ্ন প্রশ্নই রয়ে যাবে চিরদিন তোর মনে।