মা তোর মুখের দিক তাকালে সকল দুঃখ ভুলি ।
তুই জেনে -শুণে কেন আমায় এই বুকেতে মারলি গুলি ।
“দশ মাস দশ দিন রাখলি পেটে “ কত কষ্ট করলি ।
অবশেষে আমায় তুই নর্দমাতে রাখলি ।
কি ছিল আমার দোষ,কোন অপরাধে অপরাধী ।
অসময়ে-অবেলাতে কেউ হইল না মোর বাদী ।
যদিই বা রাখবি আমায় নর্দমার ঐ জলে ।
কেনই বা জম্ম দিলি পেটভরা ঐ কূলে ।
তুই মা আমার অতি আপন "ভুলব কি করে ।
আমার জন্যে তোর কি একটু চোখের পানি ঝড়ে ।
নর্দমার ঐ চাপা গন্ধ আরতো ভাল লাগে না ।
মা গো তুর আঁচল ছাড়া যে আমার প্রাণ বাঁচে না ।
বাপের সুখের লাগি তুই আমায় জম্ম দিলি ।
এই অবেলায় -অকারণে কেন প্রাণটা নিলি ।
আমি তোকে দেব না অভিশাপ "করবো না বদদোয়া" ।
রেখে গেলি আদর করে এই নর্দমার কূয়ায় ।
দেখা হবে শেষবেলাতে 'কইব কথা কানে' ।
তোমার-আমার দুঃখের কথা কেউ না যেন জানে ।


• এই কবিতাটা সেই সব মায়ের জন্য রচিত যেই মা শিশু কে অনাদরে –অনাচারে কুলাঙ্গার অবস্থায় রেখে যায় । আর কবিতার কথা গুলো তারই আর্তনাদ ।
                                                                             যাযাবর