গল্প নয় কবিতা


এই শুনুন!
বড্ড সময় নিয়ে ফেলেছি, তবুও বলছি,
কাল মানুষের কথা, শিকড় ছাড়া আগাছার কথা।
হৃত্পিণ্ডের ব্যথায় আহত সৈনিকদের কথা,
আত্মভোলা কয়েকটি জীবের কথা।
সময় আছে তো?
নাকি বাস্তবিক জীবনের চাপাকলে আপনিও আটকে গিয়েছেন?


শুনছেন তো!
কাল সকালে যে গোলাপ নিয়ে এসেছিলো,
আজ সে চোখের জল নিয়ে বেঁচে আছে।
সিগারেটের ধূয়া যার অসহনীয় ছিল,
সে আজ এই ধূয়ার মধ্যেই বেঁচে আছে।
গোলাপ, সিগারেট, শুনে কি মনে হচ্ছে?
কোন নারীর আঘাতে?
গতকাল মা রোড এক্সিডেন্ট হয়েছে,
গোলাপ দেওয়া হলো না,
লাশের হুলিয়া থেকে সবকিছু ছিন্নবিন্ন হয়ে পড়ে আছে,
বাবার লাশটাও কবর থেকে শিয়ালের দলেরা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে।


আপনি কাঁদছেন?
না! এখনো কান্নার সময় হয়নি,
এখনো বুকে চাপ্টে ধরে বিদায়ের পালা আসেনি।
ভালবাসার ছিঁটেফুটা যার মধ্যে নেয় সেও ভুল করে ভালবাসে!
নিজের চোখের জল লুকিয়ে একদিন সেও প্রেমিকার চোখের জল মুছে,
সকল আঘাত ভুলে গিয়ে আবার স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকার,
তবুও কি বেঁচে থাকা হয়?
লুকানো জল বেড়িয়ে আসে, জমানো স্বপ্ন ভাঙে।


শুনুন, এই শেষ করছি!
জীবনের সব স্বপ্নেরা আত্মহত্যা করেছে,
এখন মৃতপ্রায় দেহটা বেঁচে আছে,
বলেন! এ নিয়ে কী বেঁচে থাকা যায়?
পরশু বিকেল বেলা খবর আসলো,
এই লিকলিকে দেহটাও নাকি ফাঁস দিয়েছে,
এখন আর কেউ বেঁচে নেয়, একটা শূন্য উঠান,
একটা শূন্য ঘর ছাড়া, আর কোনকিছুই নেয়,
সময় পেলে আবার আসবেন, এখন যে বেলা ফুরালো।