চোখে নেই আর ঘুমের ঘোর,
কপালে চিন্তার গভীর রেখা।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি,
ঝাপসা চোখে ক্লান্ত মুখ একা।

চুলগুলো সব এলোমেলো,
ভেতরটা আরও বেশি।
দিন কেটে যায়, বদলায় না কিছুই,
নিজেকেই লাগে দোষী। 

ঘরের কোণে চুপটি করে
ভাবি—বেকার জীবন বাঁচা।
বাবার চোখে আগুন ঝরে ,
কথায় কাঁটার খোঁচা। 

বাবা বলেন, “আর কতকাল
চলবে শুধু বাবার টাকা নিয়ে?
পুরুষ হলে কাজ করে খাও,
নিজের রোজগার দিয়ে!”

প্রেমিকা চাপ দেয়—বিয়েটা করো,
গলায় অজস্র অভিমান।
সে জানে না আমার বেকার হাতে,
আংটি ধরাও শাস্তির সামান।

বন্ধুরা সব হাসি মুখে,
নতুন চাকরির সুখে ভাসে।
আমিই শুধু নীরব হয়ে,
হারিয়ে যাই দুঃখের পাশে।

রাত নামলে চাঁদের পানে,
চোখ তুলে বলি নির্ভয়ে—
একদিন ঠিক উঠব জ্বলে,
সূর্যের মত উজ্জ্বল হয়ে।

চোখ রাখি আয়নার সামনে,
এবার আর ঝাপসা নয়।
বেকারত্বের এই উপন্যাসে,
লেখা থাকবে—আমারই বিজয়।

              ----------