বৃক্ষের কান্না কেউ শোনেনা আজ,  
অক্সিজেন চুরি করে বানাই সভ্য সমাজ।  
যে ছায়ার নিচে শৈশব কেটেছে,  
সেই গাছ কেটে এখন ফ্ল্যাট গড়ে উঠেছে।

পাখির কূজন আজ নিঃশব্দ গান,  
আকাশে ওড়ে শুধু ধোঁয়ার বিমান।  
নদীর বুক শুকিয়ে গেছে, তৃষ্ণায় কাঁদে মাটির তল,  
তবুও  আমরা বলি, "এটাই উন্নয়নের ফসল !"

বৃষ্টির ঢেউ বদলে গেছে সুনামিতে,  
জলবায়ুর ঋতুচক্র হারিয়ে গেছে অজানার সীমান্তে।  
তবু সভা করি, সম্মেলন ডাকি,  
বক্তিতায় বৃক্ষপ্রেম,আর বাস্তবে দিই ফাঁকি।

তার শরীর ছিলো ছায়া, ছিলো ঠাণ্ডা বাতাস,  
আমরা কেটে নিই—নির্মম, নির্বাক।  
তৃষ্ণার্ত শহর গড়ে তুলি ইটের খাঁচায়,  
যেখানে গাছ মানে শুধু ‘ডিজাইন’ দেয়ালপত্রিকায়।

তার প্রতিটি পাতায় লেখা ছিলো  
আমাদের ভবিষ্যতের কার্বন ডায়রি।  
আবার আমরাই কলম চালাই কুঠার হয়ে—  
লিখি:“উন্নয়ন চলমান,গাছ নয়,চাই কারখানা গড়ি।”

হে মানুষ,  
তুমি কি জানো? প্রতিটি গাছের মৃত্যুতে  
একটা ভবিষ্যৎ শিশু হারায় নিঃশ্বাস?
তবু তুমি কেবল গ্রীষ্মে এসি চালাও—  
আর বর্ষায় প্লাস্টিকে ঢেকে ফেলো পৃথিবীর ঘাস।

আমরা সভ্য হয়েছি—হ্যাঁ, হয়েছি!  
তবে প্রকৃতির লাশের উপর দাঁড়িয়ে।
সবুজকে পাঠিয়ে দিয়েছি মৃতঘরে,  
ভবিষ্যৎ বানিয়েছি ধোঁয়ার মিনারে।

জানালার পাশে রাখা ছোট্ট টবের গাছ,  
আমাদের বিক্রিত দোষ মুছে দিতে পারে না আজ।
প্রকৃতি ফিরবে না শুধু পোস্টার আর ক্যাম্পেইনে,  
ফিরবে তখনই, যখন হৃদয়টা বদলাবে সত্য প্রেমে।

                       ------------