ফুরিয়াছে দিবালোক, ঘনিয়াছে আঁধার,
ওরা ফেরেনি ঘরে।
গুনিতেছে প্রহর, মায়েরা সকল
শূন্য কোল খানি তাদের।


হয় ভোর-ভোর,
এমনি সময় ডাকিয়া কহিল,'মাগো,
জানি আজ আর ফেরাবে না মোরে
অবেলায় ঘরে এলে,
তাই আজ আর না ফিরি ঘরে
ভাষার দাবি ফেলে।'


মায়ের বুকে তোলপাড় জুড়ে,
পাছে খোকা পায় ভয়!
শঙ্কা ঝেড়ে আশীর্বাদ করে,
'তোর হবে খোকা জয়।'


খোকা ছোটে তার, পিছু ফিরে আর
তাকায় না বারংবার,
সাহসী খোকার বুলি কেড়ে নেয়,
অতো জোর সাহস কার!


একলা ঘোরে বিড়বিড় মনে বলে উঠে মা,
'কী ভয়ানক সাহসী!'
সেই ছোট খোকা কবে হলো বড়
ভেবে মুখে ফুটে হাসি।


আঁধার রাতের প্রহর কাটে নতুন
সকাল আসে চলে,
খোকা যে তাদের এলো না ঘরে
সেই যে বিদায় বলে...


শঙ্কা জাগে, হৃদয় হাঁকে,
ভাবতে কিছু হয় ভয়,
খোকা যে তাদের পথের ধারে
নির্জীব পড়ে রয়।


কত দিবালোক ফুরাইল শেষে
খোকার হলো না ঘরে ফেরা,
আজও নিশীথে মিটিমিটি জ্বলা
প্রদীপ হাতে দাঁড়ায়ে কারা?