জার্নি ১


হঠাৎ তিনটে ব্যাকডেটেড ইয়ার জাম্প করে পিছিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
নোনা জল ঘোলা জল অতিক্রম করে সোজা তোমার কাছে
তোমার তো বয়স বাড়ে না


নভেম্বরের পয়লা তারিখেই কাঞ্চন জংঘায় বরফ পড়ল বলে আমার চুল কলপ করতে হল !
না হলে রেনফরেস্ট দাড়ির জঙ্গলে লুকিয়ে রাখতাম তোমার ঠোঁটের ভাস্কর্য


তোমাকে বলিনি, আমার একটা টাইম মেশিন আছে
তোমাকে বলা হয়নি, প্রত্যহ ভোরে তোমার শিয়র জানলায় মধুর শিস দিয়ে যায় যে দোয়েল পাখিটা সেটা আমিই
তুমি জানলা খুলে দেখলে না একদিনও


আমি একটা প্রাগৈতিহাসিক গুহা পুষি বটে
তবু ইকোপার্কের ঝর্নার পাশে বসে যখন তোমার চোখে নবীন দৃষ্টি রাখলাম তখন
আমাকে বাদাম খোসার দর্শন বোঝাতে গিয়ে তুমি 'হা' হয়ে গিয়েছিলে কেন জানেমন !!?


জার্নি ২


তোমার হিরণ্ময় চোখ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম
শুধু চোখ নয় । আস্ত একটা জীবন্ত ভাস্কর্য । আমার মহাকাব্যের প্রথম পৃষ্ঠা


যতদিন মুগ্ধতার শেষ অন্তরীপটি ভেসে থাকবে জলের ওপরে ততদিন
শুধু তোমার জন্যই পাসপোর্ট অফিসের পেছন গেটটা নন্দনকাননের দরজা হয়ে থাকবে


স্ট্রেচেবল্ জিনস্ আর ঐ আলতো আকাশী রঙের টপ
ধারালো মুখ আর ঐ ভূবনমোহিনী চোখ ! স্পষ্ট স্কেচ হয়ে গেঁথে থাকবে অজন্তার দেওয়ালে


নগ্ন দৃষ্টির আখড়ায় বসে ধবল মোড়কের গায়ে তুলি চালায় যে শিল্পীরা
আমি তাদের দলে পড়ি না


তোমার চোখের দৃষ্টি নিয়েই আঁকা হয়েছিল সায়েন্সসিটির ইনফিনিটিভ ইঁদারার নকশা
রচিত হয়েছে পৃথিবীর পঞ্চম মহাকাব্য যার একমাত্র পাঠক আমিই