প্রেম-   যদি পদচিহ্ন আঁকে কারো ডান অলিন্দে
আন্দোলিত হয় নীল জলের স্ফটিকসম অরবিন্দে,
মুক্ত হয় মুক্তোর মতো, আবদ্ধ হয় সলীল ছন্দে
রসনায় মাতে সাতসমুদ্রের প্রবালের মতো, আর গোবিন্দে !
আর,  যদি প্রেম জেঁকে বসে কোন কারনে তার বাম অলিন্দে
সে যায় লঙ্কায়, সেজে হয় রাবণ রতিতে মহানন্দে
লুফে নেয় সতীত্বের নির্যাস, স্বর্গের দেবী কাঁদে পরমানন্দে
পতিত হয় মর্ত্যে, কবির খাতায় নাম লিখে হাঁসে নিরানন্দে !


ভালবাসা- সে তো প্রেমের এক নীরব অপব্যাবহার
শুরু হয় শব্দের ঝনঝনানি, তৈরি হয় অস্ত্রের সম্ভার,
চলে যুদ্ধের প্রস্তুতি আর স্বাধীনতার পুস্পকথন
মিলনের নীরবতায় বাড়ে হৃদস্পন্দন;
অপবিত্রতার হাতছানিতে প্রকৃতি পায় যদি কোন নির্জন
সেই প্রকৃতির ডাকেই চলে সতীত্বের অবাধ বিসর্জন;
হয়তবা, কাপুরুষের মতো চলে নীরব আত্মসমর্পণ
নতুবা, এঁকে যায় অন্তর্বাসে এক কল্পিত মানচিত্রের চিত্রায়ন
যার পেছনে থাকে অনিচ্ছার এক অকাল বীর্যঙখলন !


বিয়ে- সেখানে তো ভালবাসার সরব মৃত্যু ঘটে
একটা স্বাধীন মানচিত্রে দুজনের মধ্যে চুক্তি বটে,
সেখানে বন্ধনের নামে পরাধীনতার শিকলের গিঁটে
গেঁথে থাকে ভালবাসা দুইপারের দায়বদ্ধতার সিটে !
যদি যুদ্ধে পরাজিত হয় স্বাধীনতার সেই বরপুরুষ
নিভে যায় সন্ধ্যাবাতি, জ্বলে উঠে শেষরাতের খলপুরুষ
ভালবাসা ডিঙিয়ে যায় শত বছরের বীরপুরুষ
হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে স্বজাতির কালপুরুষ !!