একটা বাঁশ বাগানের কাজলা দিদি  শখের গোঁড়ায়
পানি দিতে দিতে একদিন বাঁশের মোথা, গিঁট
পিছবারান্দার অদূরে মজা পুকুরে
ভিজিয়ে রেখেছি কিছুদিন...
একদিন গিঁট থেকে কোড়ল উঁকি দিল , আর
আমি মাটির ঢিবিতে পুঁতে দিয়ে সুঁই- ফোটানো
প্লাস্টিক বোতলের জলের বেপারীকে
বিনাশ্রম স্বেচ্ছা দন্ডের মতো ঝুলিয়ে দেই ফাঁসিতে..
সেই থেকে ঝুলে আছে আধেক বাগান মালি
সুঁই-ফোটা প্লাস্টিক বোতল।


আমি প্রতি পুর্ণিমায় কাজলা দিদির সাথে গল্প করি
কখনো দিদি আমাকে চাঁদের দেশে নিয়ে যায়
বুড়ির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়
আমি সুতো মাথায় ঘুমোতে যাই..


এখন বাজারে বাঁশের অনেক দাম
বাঁশের বাঁশিসহ বাঁশজাত তৈজসে ঐতিহ্য
আলো পড়ে ভালো কথা, তবে  আজকাল অহরহ দেখি গুটিকয়  শেয়ালে কুকুরে
বাঁশ নিয়ে তাড়া করছে একদল গরু আর ছাগলে..  


সেদিন কাজলা দিদি পূর্ণিমায় বাঁশবাগানে গিয়ে দেখি বাঁশগুলো সব মোথা হয়ে আছে
মাথার উপর চাঁদ ঠিকই ঝলমল করছে....
চাঁদ তুমি এতো কষ্ট নিয়ে হাসো কি করে?