জন্মেই হাঁটতে শিখে কেউ, কেউবা ডানা ঝাপটানো, সাঁতার
আমার পুরো আঠার মাস অতঃপর মাটি আর ঘাস, বসবাস-
সহবাস করেছি ভিনদেশী আওয়াজ । দুরন্ত কৈশোর আজি
কেঁচোর লাঙলে ধরি হাল । মনপবনের হাওয়ায় ফসলের গান
জিয়ন কাঠিতে জোয়ার আসে হেথা গাঙশালিকের ঝাঁক।
এক হাঁটু কাদা জল, হাঁটে জল-শামুক বাটি-ঝিনুক
ডানকানা মেলে ডানা, সর্ষে দানায় নামে কিম্ভূত ভূত।
নাচে গাছের পাতা প্রজাপতি পাখা কলসি-কাখে কুমারী নূপুর
দুপুর গড়িয়ে ঝিকমিক গাড়ি গড়ায় বেতস আঙিনায়।
মরীচিকা চমকে উড়েছি হাওয়ায়, স্বপ্ন সাধ সেও এবেলায়
বোকাই বাড়াবাড়ি, ভুলের ধুলিপাহাড়, যেখানে যেমন যাহার
চোখে মুখে বোবা কান্নারা হেসে মরে নিতুই অচিন বাঁকে।
বিত্তের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে শাদা বক এক পা ধ্যান করি
শুধু তোমারেই স্মরি । বুকের গহিনে জমাট কথারা ইশারায়
নিরিবিলি নিরালায় চিৎকারে ভেঙেছে আলগোছে পাঁজর।
আর নহে কেহ অঘোম মোহ পরিয়েছে লাগাম এ পোড়া মুখে
আজি বেলাশেষে অবশেষে ফুটল বোল মনের ফুল
দুঃখিনী বাঙলা মায়ের আঁচল তলে ভেঙে দু'ঠোট
বাঙলায় কাঁদি বাঙলায় হাসি বাংলায় গাই আহা
মরি যদি তব বচন সুধায় সে যে অনন্ত অমৃত সম ।