আড়ালে, আবডালে, সঙ্গোপনে কি দেইনি তোমায়?
বেড়ালের মতো চুপি চুপি হেঁটেছি তৃষ্ণায় কাতর
আলো আধারিতে হারায় তৃতীয়ার চাঁদ, একপায়ে দাঁড়িয়ে হিজলতল
ঝিঝি’র একটানা আর্তনাদ, শিয়ালের হুক্কাহুয়া - গুণেছি প্রমাদ
পায়ের নীচে কম্পমান পৃথিবী
কেঁপেছে বুকের প্রতিটি পাঁজর আর পথচলা শুধু আশার কুহক
শূন্যে বাড়িয়েছি মেহেদী রাঙা হাত, কল্পনায় এঁকেছি আলপনা
অতঃপর কি দেইনি তোমায়?


আলিঙ্গনে জড়িয়েছি বুকে
খুলেছি অন্তর্বাস, যৌবনের ভাঁজ
দিয়েছি সকল সবুজ, পাহাড়, গুহা , নদী
                      নিরবধি
মেঘের আড়ালে অবাক লুকোচুরি খেলা-
কি দেইনি বল ?
কি দেইনি?


বিনে পয়সার দাসী, তনে ও মনে অহরহ পথের মতো
সঙ্গ দিয়েছি অহোরাত্রি, অতঃপর
চাষবাস নিরন্তর।


এখন
শরীরে বাসা বেঁধেছে তোমার অস্তিত্ব
গুণছে, এক দুই তিন…
সূর্য উঠে
সূর্য ডুবে
জ্বলে ঝলমল তারা;
আমি
তসবিহ হাতে গুণি এক দুই
একের ভেতর দুই, বসি আর শুই
গুণি এক দুই, অতঃপর
কি দেইনি তোমাকে ?
খবরের কাগজ, বেতার, টেলিভিশনে নিখোঁজ সংবাদ দেইনি ?


মোহময় স্বপ্নলোক, দূরে-অদূরে, হেতা হোতা
তুমি কত আলোকবর্ষ দূর ?
কাটে না অন্ধকার প্রহর
কখন আসবে সোনালী ভোর ?
দ্রুতযানে এসো, সামনে জল, অথৈ
বসি আর শুই গুণি এক দুই………