ভাঙবে কেন মনবেরি বাঁধ
কাঁদবে কেন হলুদিয়া কুটুম পাখি  
কিছু জানিনা, শুধু
জানি রাঁধুনি মন কেঁদে বেড়ায় ধোঁয়ার বাঁকে অথচ
থেমে যায় বুকের ঢেউ বুকের ভেতর
ভেঙে যায় কবিতার আসর, জীবনের খেলাঘর!
এখানে শরাহত পাখি ডানা ঝাঁপটায়
শালের বনে খাঁ খাঁ করে রোদ্দুর
পৌষের বায়ু নিতি গায় ঝরাপাতার গীতি আর
দীর্ঘশ্বাসগুলো নদী হয় নিরবধি ।
স্মৃতিরা হেঁটে আসে আয়নায় অতঃপর
পাক খায় চিবুকের তিলে
ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ে এলোচুল
ছোটপাখি ঘুম যায় জলজোছনা নীড়ে;
একে একে ভ্রান্তির ছবি তুলে চোখ
দিয়াশলাই কাঠি জ্বালায় গুমন্ত বহ্নিশিখা  
মন মরে
পাতা ঝরে
ভাঙে বোধের পাহাড়
অহং সমুদ্দুর ।
রাত পোহালেই যদি বাজে সানাইয়ের সুর
কে চায় আসুক অচিন ভোর !
তেল-চোরা যদি দিব্যি চুল চুমে খায় তেল
মনচোরা মন নিয়ে কেন করে খেলা!
এখন
আমি হাওয়ার ঠোঁটে চুমু খাই অস্তরাগে
চিবুই পাতাঝরা শীত
নদীজলে ঘুম যাই
মুঠোয় বন্দি করি মনপবন।
এখনো কথা বলে আয়ু
নাসিকায় গন্ধ ঢালে উদ্বায়ী বায়ু আর
দরজার পাখি শিস দেবে বলে
গুণি অপেক্ষার জল।