একদিন হঠাৎ দেখি এক মনোহারী দোকান
দাঁড়িয়ে আছে ঢেউয়ের মত।
হয়ত মনের ভুল  
দেখি এলোমেলো উড়ছে দোকানের চুল
নাকের ডগায়
পিঠের প’রে, চোখের উপর- আর  
হাওয়ায় দুলছে আমার খাঁচার বুলবুল।  
ঠোঁটের কোণে লুকোনো অচেনা ইন্দ্রজাল
চোখের গভীরে সাজানো আছে মায়াবী এক নদী
কন্ঠে উপছে পড়ে দুষ্টুমি দুপুর, কখনোবা  
মধুমাখা আড়ং সুর-
আমি উন্মন গন্ধ বকুল ।    
হাসিগুলি ঝুলে আছে যেন বার্মিজ আচার
পরাণের জিভে জল আটকাতে বাঁধি বালির বাঁধ
বুকের উপত্যকার ভাঁজে আঁচলের মায়াজাল
ইচ্ছে করে কুড়াই কড়ি বুক পকেটের ভেতর; আর  
মধ্য-তাকে উদ্ভাসে নাভিফুল জলপুকুর-  
সে যে সাঁতার ভালবাসে বিশ্বাসের দামে
বলবে কথা বৈশাখের নতুন ধানে ।
অতঃপর তরে তরে সাজানো আছে
মেহেদীর রঙে আলপনা-আঁকা হাত
জলজঙ্গলের আঁধার মনিপুরী রাত
চকচকে নীল নেল-পোলিশের আরশি আর  
তার পড়শি আলতা-রাঙা জোড়া পা  
আমার দুচোখ দেখে আপাদমস্তক  
মনোহারী দোকান এক, আর
আমি দেখি দু’চোখে স্বপ্নআঁকা মনোহারী মন।