রাতের বয়স বাড়ে, বৃদ্ধের মত দিনের বোঝায় নুয়ে পড়ে
পৃথবীর আলতা মাখা পায়ের নুপুর গভীর ঘুমে প্রলাপ বকে
সাদা বক স্বপ্নে কাককে চৌদ্দ গুষ্ঠি নিয়ে গালি দেয়
বৃদ্ধের লালা রসুনের ছোলার মত বালিশে স্বাধীনতার ঘুড়ি আঁকে।


ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখ নিয়ে নদীর বুকে বিড়ি টানে মাঝি
কিশোরী দ্বিতীয় পর্বের ঘুমের আয়োজন করে বাতায়নে এক পা তুলে
কাহিল বুকে বেদনার কফ ঘড় ঘড় শব্দ তোলে
চল্লিশ অতিক্রান্ত রমনী হাত বাড়িয়ে বিছানার কোনায় কি যেন খোঁজে।


যখন তিতলীর বাড়ির পাশের গলিটায় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়না
যখন ছিয়াশি দিন বয়সি শিশু মায়ের স্তন পানের তৃষ্ঞা হারায়,
রাত তখন নববিবাহিতার ন্যায় বসন গোছাতে ব্যস্ত লাজুক মুখে
দিন রাতের মুখ থেকে হলদে বমি চেটে নিয়ে কবিতা কবিতা খেলে।