দৈবচয়নে চয়নকৃত হয়ে
আমি জন্মেছিলাম এ মানব বাসরে
চাউনিতে বিষাদ,
রক্তে সুবাসিত স্বপ্নের শুকতারা
মাংসের দলা পাকিয়ে
গঠিত হল ছেষট্টি ইঞ্চির দেয়াল
যে দেয়াল শুধু নুয়ে পড়তে চায়
ভেতরের আস্কারা পেয়ে।


আমার কবিতার খাতা
দিয়াশলাইয়ের আনুগত্য মেনে নিয়ে জীবন দেয়।
আমি খাটো হতে হতে খাটের তলায় বাসা বাঁধি,
চােখে মুখে ইদুঁর দলাদলি করে,
আমাকে যন্ত্রনার মন্ত্রনা দেয়
কানে ভেসে আসে রাখালের স্বমেহনের অন্তিম সুর
কবিতার খাতা ততক্ষনে ছাই হয়,
বাতাসে কার্বনের বংশবিস্তার করে।


আরশির সামনে যখন দাঁড়াই,
ভেতর থেকে ফণা মেলে ওঠে আঙুর
লালার স্রোতে কানের লতি ভাসে,
দূর থেকে মনে হয় রক্তাক্ত দলিল,
লাশ কাটা ঘরের ডোমেরা
আমাকে জীবন্ত দহন করে গ্লাসে
আমি কোথায়? আমি কে?
প্রশ্ন গুলো দেয়ালে উত্তর হয়ে ভাসে।